11. হে আমার পিতা, এই দেখুন, আমার হাতে আপনার পোশাকের একটা টুকরা। আমিই আপনার পোশাক থেকে টুকরাটা কেটে নিয়েছি কিন্তু আপনাকে মেরে ফেলি নি। তাহলে আপনি এবার বুঝতে এবং জানতে পারলেন যে, আপনার প্রতি কোন অন্যায় বা বিদ্রোহের ভাব আমার মধ্যে নেই। আমি আপনার বিরুদ্ধে কোন গুনাহ্ করি নি, কিন্তু আপনি আমাকে মেরে ফেলবার জন্য ওৎ পেতে আছেন।
12. মাবুদই যেন আমার ও আপনার বিচার করেন এবং আমার প্রতি আপনি যে অন্যায় করেছেন তার প্রতিফল দেন; তবুও আমি আপনার বিরুদ্ধে হাত তুলব না।
13. আগেকার লোকদের চল্তি কথায় আছে, ‘দুষ্টের মধ্য থেকেই আসে দুষ্টতা,’ তাই আমি আপনার বিরুদ্ধে হাত তুলতে যাব না।
14. “ইসরাইলের বাদশাহ্ কার পিছনে বের হয়ে এসেছেন? কার পিছনে আপনি তাড়া করে ফিরছেন? কেন আপনি একটা মরা কুকুরের পিছনে, একটা পোকার পিছনে তাড়া করছেন?
15. মাবুদই যেন বিচার করে আমার ও আপনার ব্যাপারে রায় দেন। তিনিই যেন আমার কাজ দেখে আমার পক্ষে দাঁড়ান এবং আপনার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করেন।”
16. দাউদের কথা শেষ হলে পর তালুত বললেন, “বাবা দাউদ, এ কি তুমিই কথা বলছ?” এই বলে তিনি জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন।
17. তিনি দাউদকে বললেন, “তুমি আমার চেয়ে ন্যায়বান, কারণ আমি তোমার সংগে খারাপ ব্যবহার করলেও তুমি আমার সংগে ভাল ব্যবহার করেছ।
18. তুমি যে আমার প্রতি ভাল ব্যবহার করে আসছ তা তুমি আজ আমাকে জানালে। মাবুদ তোমার হাতে আমাকে তুলে দিয়েছিলেন কিন্তু তুমি আমাকে মেরে ফেল নি।
19. কেউ যদি শত্রুকে হাতে পায় তবে সে কি তার কোন ক্ষতি না করেই তাকে ছেড়ে দেয়? আজ তুমি আমার প্রতি যে ব্যবহার করেছ তার জন্য মাবুদ যেন তোমার ভাল করেন।
20. আমি এখন জানি যে, তুমি নিশ্চয় বাদশাহ্ হবে আর তোমার দ্বারাই ইসরাইল রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
21. তাই এখন তুমি মাবুদের নামে আমার কাছে এই কসম খাও যে, তুমি আমার পরে আমার বংশধরদের ধ্বংস করবে না আর আমার পিতার বংশ থেকে আমার নামও মুছে ফেলবে না।”
22. দাউদ তালুতের কাছে সেই কসমই খেলেন। এর পর তালুত ঘরে ফিরে গেলেন, আর দাউদ তাঁর লোকজন নিয়ে তাঁর সেই কেল্লা নামে পাহাড়টায় উঠে গেলেন।