১ শামুয়েল 20:24-25-34 Kitabul Mukkadas (MBCL)

3. কিন্তু দাউদ আবার কসম খেয়ে বললেন, “তোমার বাবা খুব ভাল করেই জানেন যে, তুমি আমাকে ভালবাস। তাই হয়তো তিনি মনে মনে ভেবেছেন, যোনাথনকে এই বিষয়ে না জানানোই ভাল, সে দুঃখ পাবে। কিন্তু আল্লাহ্‌র কসম এবং তোমার প্রাণের কসম খেয়ে আমি বলছি যে, মৃত্যু আমার কাছ থেকে মাত্র এক পা দূরে।”

4. তখন যোনাথন দাউদকে বললেন, “তুমি আমাকে যা করতে বলবে আমি তোমার জন্য তা-ই করব।”

5. দাউদ বললেন, “দেখ, কাল অমাবস্যার উৎসব। বাদশাহ্‌র সংগে আমার খেতে বসবার কথা আছে। কিন্তু তুমি আমাকে যেতে দাও। আমি পরশু রাত পর্যন্ত মাঠের মধ্যে লুকিয়ে থাকব।

6. যদি তোমার বাবা আমার খোঁজ করেন তবে তুমি তাঁকে বলবে, ‘দাউদ বেথেলহেমে তার বাড়ীতে তাড়াতাড়ি যাবে বলে আমার কাছে মিনতি করে অনুমতি চেয়েছিল, কারণ

7. সেখানে তাদের বংশের বাৎসরিক পশু-কোরবানী হচ্ছে।’ তিনি যদি বলেন, ‘ভাল,’ তবে তোমার গোলাম আমি নিরাপদ; কিন্তু যদি খুব রেগে ওঠেন তবে তুমি জেনো যে, তিনি আমার ক্ষতি করবেন বলে মন স্থির করেছেন।

8. কাজেই তুমি এখন আমার প্রতি বিশ্বস্ত হও, কারণ মাবুদকে সাক্ষী রেখে তুমি আমার সংগে একটা চুক্তি করেছ। আমি যদি দোষ করে থাকি তবে তুমি নিজেই আমাকে মেরে ফেল, তোমার বাবার হাতে আমাকে তুলে দেবার দরকার কি?”

9. যোনাথন বললেন, “তুমি কখনও এমন চিন্তা কোরো না। যদি আমি জানতে পারি যে, আমার পিতা তোমার ক্ষতি করাই স্থির করেছেন, তবে নিশ্চয়ই আমি তা তোমাকে জানাব।”

24-25. এর পর দাউদ মাঠে গিয়ে লুকিয়ে রইলেন। এদিকে অমাবস্যার উৎসব উপস্থিত হলে বাদশাহ্‌ অন্যান্য বারের মত দেয়ালের পাশে নিজের আসনে খেতে বসলেন। যোনাথন উঠে দাঁড়ালেন যেন অবনের গিয়ে তালুতের পাশে বসতে পারেন। দাউদের আসনটা কিন্তু খালি রইল।

26. তালুত সেই দিন কিছুই বললেন না, কারণ তিনি ভাবলেন, হয়তো এমন কিছু হয়ে গেছে যাতে দাউদ নাপাক হয়েছে; নিশ্চয়ই সে পাক-সাফ অবস্থায় নেই।

27. পরের দিন, অর্থাৎ অমাবস্যা-উৎসবের দ্বিতীয় দিনেও দাউদের আসনটা খালি পড়ে রইল। তখন তালুত তাঁর ছেলে যোনাথনকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ইয়াসির ছেলে খেতে আসে নি কেন? কালও আসে নি, আজও আসে নি।”

28. যোনাথন জবাবে বললেন, “দাউদ বেথেলহেমে যাবার অনুমতি চেয়ে আমাকে খুব মিনতি করেছিল।

29. সে আমাকে বলেছিল, ‘দয়া করে আমাকে যেতে দাও; আমাদের বংশের লোকেরা গ্রামে একটা কোরবানী দিচ্ছে এবং আমার ভাই আমাকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হুকুম দিয়েছেন। যদি আমার প্রতি তোমার মনে একটু দয়া থাকে তবে আমাকে গিয়ে আমার ভাইদের দেখে আসবার অনুমতি দাও।’ সেইজন্যই সে মহারাজার ভোজে আসে নি।”

30. এই কথা শুনে তালুত যোনাথনের উপর রেগে আগুন হয়ে গেলেন। তিনি তাঁকে বললেন, “ওরে বিদ্রোহিনী স্ত্রীলোকের জারজ সন্তান! আমি কি জানি না যে, তুই ইয়াসির ছেলের পক্ষ নিয়েছিস্‌ আর তাতে তুই নিজের উপর এবং তোর মায়ের উপর লজ্জা ডেকে এনেছিস?

31. যতদিন ইয়াসির ছেলে এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকবে ততদিন তুই স্থির থাকবি না, তোর রাজ্যও স্থির থাকবে না। কাজেই এখনই লোক পাঠিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আয়, তাকে মরতেই হবে।”

32. যোনাথন তাঁর বাবাকে বললেন, “কেন তাকে মরতে হবে? সে কি করেছে?”

33. তখন তালুত যোনাথনকে হত্যা করার জন্য বর্শা ছুঁড়লেন। এতে যোনাথন বুঝতে পারলেন, তাঁর পিতা দাউদকে হত্যা করবেন বলে ঠিক করেছেন।

34. তখন যোনাথন ভীষণ রেগে গিয়ে টেবিল ছেড়ে উঠে গেলেন এবং সেই দিনের ভোজে কিছুই খেলেন না। তাঁর পিতা দাউদকে অপমান করেছিলেন বলে তাঁর মনে খুব দুঃখ হল।

১ শামুয়েল 20