14. সেটা দিয়ে সে হাঁড়িতে কিংবা গামলাতে কিংবা কড়াইতে কিংবা পাত্রে খোঁচা মারত এবং সেই কাঁটাতে যে গোশ্ত উঠে আসত তা সবই ইমাম নিজের জন্য নিয়ে যেত। বনি-ইসরাইলদের যত লোক শীলোতে আসত তাদের প্রতি তারা এই রকম ব্যবহারই করত।
15. তা ছাড়া, চর্বি আগুনে দেবার আগেই ইমামের চাকর এসে যে লোকটি পশু-কোরবানী দিচ্ছে তাকে বলত, “আগুনে ঝল্সাবার জন্য ইমামকে গোশ্ত দাও। তিনি তোমার কাছ থেকে সিদ্ধ করা গোশ্ত নেবেন না, কাঁচা গোশ্তই নেবেন।”
16. সেই লোকটি যদি বলত, “প্রথমে চর্বি পোড়াতে হবে, তারপর তুমি তোমার ইচ্ছামত গোশ্ত নিয়ে যেয়ো,” তবে সে বলত, “না, এখনই তা দিতে হবে; না দিলে আমি জোর করে নিয়ে যাব।”
17. মাবুদের চোখে সেই যুবক ইমামদের গুনাহ্ ভীষণ হয়ে দেখা দিল, কারণ তারা মাবুদের উদ্দেশে এই সব কোরবানীর জিনিসগুলো তুচ্ছ করত।
18. ছোট ছেলে শামুয়েল কিন্তু মসীনা সুতার এফোদ পরে মাবুদের এবাদত-কাজ করতে থাকলেন।
19. প্রত্যেকবার স্বামীর সংগে বাৎসরিক পশু-কোরবানী দিতে যাওয়ার সময় শামুয়েলের মা একটা ছোট কোর্তা তৈরী করে তাঁর জন্য নিয়ে যেতেন।
20. তখন ইল্কানা ও তাঁর স্ত্রীকে দোয়া করে আলী বলতেন, “এই স্ত্রীলোকটি মাবুদের কাছে যে সন্তানকে দিয়েছে তার বদলে মাবুদ এই স্ত্রীর গর্ভে তোমাকে আরও সন্তান দিন।” এর পরে তাঁরা তাঁদের বাড়ী চলে যেতেন।
21. মাবুদ সত্যিই হান্নাকে রহমত দান করলেন। তাতে হান্না গর্ভবতী হলেন এবং তাঁর মোট তিন ছেলে ও দুই মেয়ে হল। এদিকে ছোট শামুয়েল মাবুদের কাছে কাছে থেকে বড় হয়ে উঠতে লাগলেন।
22. আলী তখন খুব বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন। বনি-ইসরাইলদের প্রতি তাঁর ছেলেদের সমস্ত ব্যবহারের কথা এবং যে সব স্ত্রীলোকেরা এবাদত-কাজের জন্য মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে আসত তাদের সংগে তাদের জেনার কথা তাঁর কানে গেল।
23. তিনি তাদের বললেন, “তোমরা এ কি করছ? তোমাদের খারাপ কাজের কথা আমি এই সব লোকদের কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছি।
24. না, না, আমার ছেলেরা, মাবুদের বান্দাদের যে সব কথা বলাবলি করতে শুনছি তা ভাল নয়।
25. মানুষ যদি মানুষের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে তবে আল্লাহ্ তার মীমাংসা করতে পারেন; কিন্তু মানুষ যদি মাবুদের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে তবে তার জন্য কে মিনতি করতে পারবে?” কিন্তু তারা তাদের বাবার কথায় কান দিল না, কারণ মাবুদ তাদের হত্যা করবেন বলে ঠিক করেছিলেন।
26. ছোট ছেলে শামুয়েল বড় হয়ে উঠতে লাগলেন এবং মাবুদ ও মানুষের কাছে ভালবাসা পেতে থাকলেন।
27. একদিন আল্লাহ্র একজন লোক আলীর কাছে এসে বললেন, “মাবুদ বলছেন, ‘তোমার পূর্বপুরুষেরা যখন মিসরে ফেরাউনের অধীন ছিল তখন তাদের কাছে কি আমি নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করি নি?
28. বনি-ইসরাইলদের সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্য থেকে কি আমি লেবীয়দের বেছে নেই নি, যাতে তারা আমার ইমাম হয়ে আমার কোরবানগাহের কাছে গিয়ে ধূপ জ্বালাতে পারে এবং এফোদ পরে আমার সামনে আসতে পারে? বনি-ইসরাইলদের সমস্ত পোড়ানো-কোরবানীর ভাগ কি আমি তাদের ও তাদের বংশকে দেই নি?
29. তাহলে আমার ঘরে যে সব কোরবানী দিতে আমি হুকুম দিয়েছি তোমরা কেন সেই সব পশু-কোরবানী এবং অন্যান্য কোরবানীগুলোর অসম্মান করছ? আমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের কোরবানীগুলোর সবচেয়ে ভাল অংশটুকু দিয়ে নিজেদের মোটাসোটা করে কেন তুমি আমার চেয়ে তোমার ছেলেদের বড় করে দেখছ?’