11. দাউদের উপর নজর রাখবার জন্য তালুত তাঁর বাড়ীতে লোক পাঠিয়ে দিলেন যাতে পরের দিন সকালে তাঁকে হত্যা করা যায়। কিন্তু তাঁর স্ত্রী মীখল তাঁকে সব কিছু জানিয়ে বললেন, “আজ রাতে তুমি যদি প্রাণ নিয়ে না পালাও তবে কালই তুমি মারা পড়বে।”
12. কাজেই মীখল দাউদকে জানালা দিয়ে নীচে নামিয়ে দিলেন আর তিনি পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পেলেন।
13. মীখল তখন পারিবারিক দেবমূর্তিগুলো নিয়ে বিছানায় রাখলেন এবং বিছানার মাথার দিকে দিলেন ছাগলের লোমের একটা বালিশ; তারপর সেগুলো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলেন।
14. দাউদকে ধরবার জন্য তালুত লোক পাঠালে মীখল বললেন, “উনি অসুস্থ।”
15. এই খবর শুনে তালুত দাউদকে দেখবার জন্য সেই লোকদেরই আবার পাঠালেন এবং বলে দিলেন, “দাউদকে খাট সুদ্ধই নিয়ে এস; আমি তাকে মেরে ফেলব।”
16. লোকগুলো ঘরে ঢুকে বিছানার উপর সেই দেবমূর্তিগুলো এবং বিছানার মাথার দিকে ছাগলের লোমের বালিশটা দেখতে পেল।
17. পরে তালুত মীখলকে বললেন, “তুমি কেন এইভাবে আমাকে ঠকালে? তুমি আমার শত্রুকে ছেড়ে দেওয়াতে সে পালিয়ে গেছে।”মীখল তাঁকে বললেন, “তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে যেতে দাও, নইলে আমি তোমাকে খুন করব।’ ”
18. এদিকে দাউদ পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচালেন। তিনি রামায় শামুয়েলের কাছে গেলেন এবং তালুত তাঁর উপর যা যা করেছেন তা সবই তাঁকে জানালেন। এর পর দাউদ আর শামুয়েল গিয়ে নায়োৎ পাড়ায় বাস করতে লাগলেন।
19. তালুত খবর পেলেন যে, দাউদ রামার নায়োৎ পাড়ায় আছেন।
20. এই কথা শুনে তিনি দাউদকে ধরে আনবার জন্য লোক পাঠিয়ে দিলেন। সেই লোকেরা গিয়ে দেখল একদল নবী শামুয়েলের অধীনে আল্লাহ্র কথা বলছেন। আল্লাহ্র রূহ্ তখন তালুতের লোকদের উপরেও আসলেন আর তারাও নবী হিসাবে আল্লাহ্র কথা বলতে লাগল।