12. পরদিন খুব ভোরে উঠে শামুয়েল তালুতের সংগে দেখা করতে গেলেন। সেখানে তাঁকে বলা হল যে, তালুত কর্মিল পাহাড়ে গিয়ে নিজের সম্মানের জন্য সেখানে একটা স-ম্ভ তৈরী করবার পর গিল্গলে চলে গেছেন।
13. শামুয়েল তখন তালুতের কাছে গেলেন। তালুত তাঁকে বললেন, “আস্সালামু আলাইকুম। মাবুদের হুকুম আমি পালন করেছি।”
14. শামুয়েল বললেন, “তবে ভেড়ার ডাক আমার কানে আসছে কেন? গরুর ডাকই বা আমি শুনতে পাচ্ছি কেন?”
15. জবাবে তালুত বললেন, “আমালেকীয়দের কাছ থেকে ওগুলো আনা হয়েছে। আপনার মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে কোরবানী করবার জন্য সৈন্যেরা ভাল ভাল গরু ও ভেড়া রেখে দিয়েছে; তবে বাকী সব কিছু আমরা একেবারে শেষ করে দিয়েছি।”
16. শামুয়েল তখন তালুতকে বললেন, “চুপ কর। গত রাতে মাবুদ আমাকে যা বলেছেন তা আমি তোমাকে বলি।”তালুত বললেন, “বলুন।”
17. শামুয়েল বললেন, “একদিন তুমি নিজের চোখে খুবই সামান্য ছিলে, কিন্তু তবুও কি তুমি বনি-ইসরাইলদের সমস্ত গোষ্ঠীর মাথা হও নি? মাবুদই তোমাকে ইসরাইল দেশের উপরে বাদশাহ্ হিসাবে অভিষেক করেছেন।
18. তিনি তোমাকে একটা কাজে পাঠিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘তুমি গিয়ে সেই গুনাহ্গারদের, অর্থাৎ আমালেকীয়দের একেবারে শেষ করে ফেলবে। তারা একেবারে শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সংগে যুদ্ধ করবে।’
19. তুমি মাবুদের হুকুম পালন কর নি কেন? কেন তুমি লুটের জিনিসের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে এবং মাবুদের চোখে যা খারাপ তা-ই করলে?”
20. তালুত বললেন, “কিন্তু আমি তো মাবুদের হুকুম পালন করেছি। যে কাজে মাবুদ আমাকে পাঠিয়েছিলেন আমি সেই কাজ করেছি। আমি আমালেকীয়দের একেবারে শেষ করে দিয়েছি এবং তাদের বাদশাহ্ অগাগকে ধরে নিয়ে এসেছি।
21. তবে ধ্বংসের জন্য ঠিক করে রাখা জিনিস থেকে সৈন্যেরা কতগুলো ভাল ভাল গরু ও ভেড়া এনেছে, যাতে গিল্গলে আপনার মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে সেগুলো তারা কোরবানী করতে পারে।”
22. তখন শামুয়েল বললেন, “মাবুদের হুকুম পালন করলে তিনি যত খুশী হন, পোড়ানো-কোরবানী ও পশু-কোরবানী কি তিনি তত খুশী হন? পশু-কোরবানীর চেয়ে তাঁর হুকুম পালন করা আর ভেড়ার চর্বির চেয়ে তাঁর কথার বাধ্য হওয়া অনেক ভাল।