14. তোমরা যদি মাবুদকে ভয় কর, তাঁর এবাদত কর ও তাঁর বাধ্য হয়ে তাঁর হুকুমের বিরুদ্ধে না চল, আর যিনি তোমাদের শাসন করবেন সেই বাদশাহ্ ও তোমরা যদি তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র ইচ্ছামত চল, তবে ভালই।
15. কিন্তু যদি তোমরা মাবুদের বাধ্য না হও এবং তাঁর হুকুমের বিরুদ্ধে চল, তবে তিনি যেমন তোমাদের পূর্বপুরুষদের শাস্তি দিয়েছিলেন তেমনি তোমাদেরও দেবেন।
16. “এবার তোমরা তৈরী হও; মাবুদ তোমাদের চোখের সামনে যে মহৎ কাজ করবেন তা দেখ।
17. এখন তো গম কাটবার সময়, তাই না? আমি মাবুদকে বলব যেন তিনি মেঘের গর্জন এবং বৃষ্টি পাঠিয়ে দেন। তখন তোমরা জানবে এবং দেখতে পাবে যে, বাদশাহ্ চেয়ে তোমরা মাবুদের কাছে কত বড় অন্যায় করেছ।”
18. এর পর শামুয়েল মাবুদের কাছে মুনাজাত করলেন এবং তিনি সেই দিনই মেঘের গর্জন ও বৃষ্টি পাঠিয়ে দিলেন। তখন সবাই মাবুদ ও শামুয়েলকে ভয় করতে লাগল।
19. সবাই তখন শামুয়েলকে বলল, “আপনি আপনার মাবুদ আল্লাহ্র কাছে আপনার এই গোলামদের জন্য মুনাজাত করুন যাতে আমরা মারা না পড়ি, কারণ বাদশাহ্ চেয়ে আমরা আমাদের অন্য সব গুনাহের সংগে এই গুনাহ্ও যুক্ত করেছি।”
20. জবাবে শামুয়েল বললেন, “তোমরা ভয় কোরো না। তোমরা যদিও এই সব অন্যায় করেছ তবুও মাবুদের কাছ থেকে সরে না গিয়ে সমস্ত দিল দিয়ে তাঁর এবাদত কর।
21. তোমরা তাঁর কাছ থেকে সরে যেয়ো না, কারণ তা করলে তোমরা অসার দেব-দেবীর পিছনে যাবে। সেগুলো অসার বলে তোমাদের কোন উপকারও করতে পারবে না এবং তোমাদের রক্ষাও করতে পারবে না।
22. মাবুদ তাঁর মহানামের দরুন তাঁর বান্দাদের কখনও ত্যাগ করবেন না, কারণ তিনি নিজের ইচ্ছাতেই তোমাদের তাঁর নিজের বান্দা করে নিয়েছেন।
23. আমি যেন কখনও তোমাদের জন্য মুনাজাত করা বন্ধ করে মাবুদের বিরুদ্ধে গুনাহ্ না করি। আমি তোমাদের সৎ ও ন্যায়পথে চলতে শিক্ষা দেব।
24. তোমরা কেবল মাবুদকে ভয় করবে এবং তোমাদের সমস্ত দিল দিয়ে বিশ্বস্তভাবে তাঁর এবাদত করবে। ভেবে দেখ, তিনি তোমাদের জন্য কত বড় বড় কাজ করেছেন।
25. কিন্তু যদি তোমরা অন্যায় কাজ করতেই থাক তবে তোমরা ও তোমাদের বাদশাহ্ সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে।”