10. তখন তোমাদের পূর্বপুরুষেরা মাবুদের কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে বলল, ‘আমরা গুনাহ্ করেছি; আমরা মাবুদকে ছেড়ে বাল-দেবতাদের ও অষ্টারোৎ-দেবীদের পূজা করেছি; এখন তুমি শত্রুদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা কর, আমরা তোমারই এবাদত করব।’
11. তখন মাবুদ যিরুব্বাল, বদান, যিপ্তহ ও শামুয়েলকে পাঠিয়ে তোমাদের চারপাশের শত্রুদের হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করলেন। তারপর তোমরা নিরাপদে বাস করতে লাগলে।
12. “কিন্তু অম্মোনীয়দের বাদশাহ্ নাহশকে যখন তোমরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসতে দেখলে তখন যদিও তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ই ছিলেন তোমাদের বাদশাহ্ তবুও তোমরা আমাকে বললে, ‘না, আমরা চাই আমাদের উপরে একজন বাদশাহ্ রাজত্ব করুক।’
13. এখন দেখ, ইনিই তোমাদের বাদশাহ্, যাঁকে তোমরা চেয়েছ আর বেছে নিয়েছ। মাবুদ তোমাদের উপরে একজন বাদশাহ্ নিযুক্ত করেছেন।
14. তোমরা যদি মাবুদকে ভয় কর, তাঁর এবাদত কর ও তাঁর বাধ্য হয়ে তাঁর হুকুমের বিরুদ্ধে না চল, আর যিনি তোমাদের শাসন করবেন সেই বাদশাহ্ ও তোমরা যদি তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র ইচ্ছামত চল, তবে ভালই।
15. কিন্তু যদি তোমরা মাবুদের বাধ্য না হও এবং তাঁর হুকুমের বিরুদ্ধে চল, তবে তিনি যেমন তোমাদের পূর্বপুরুষদের শাস্তি দিয়েছিলেন তেমনি তোমাদেরও দেবেন।
16. “এবার তোমরা তৈরী হও; মাবুদ তোমাদের চোখের সামনে যে মহৎ কাজ করবেন তা দেখ।
17. এখন তো গম কাটবার সময়, তাই না? আমি মাবুদকে বলব যেন তিনি মেঘের গর্জন এবং বৃষ্টি পাঠিয়ে দেন। তখন তোমরা জানবে এবং দেখতে পাবে যে, বাদশাহ্ চেয়ে তোমরা মাবুদের কাছে কত বড় অন্যায় করেছ।”
18. এর পর শামুয়েল মাবুদের কাছে মুনাজাত করলেন এবং তিনি সেই দিনই মেঘের গর্জন ও বৃষ্টি পাঠিয়ে দিলেন। তখন সবাই মাবুদ ও শামুয়েলকে ভয় করতে লাগল।
19. সবাই তখন শামুয়েলকে বলল, “আপনি আপনার মাবুদ আল্লাহ্র কাছে আপনার এই গোলামদের জন্য মুনাজাত করুন যাতে আমরা মারা না পড়ি, কারণ বাদশাহ্ চেয়ে আমরা আমাদের অন্য সব গুনাহের সংগে এই গুনাহ্ও যুক্ত করেছি।”