9. শামুয়েলের কাছ থেকে চলে যাবার উদ্দেশ্যে তালুত ঘুরে দাঁড়াতেই আল্লাহ্ তাঁর মন বদলে দিলেন। সেই দিনই চিহ্ন হিসাবে বলা ঘটনাগুলো ঘটল।
10. তালুত ও তাঁর চাকর গিবিয়াতে পৌঁছালে এক দল নবীর সংগে তাঁদের দেখা হল। তখন আল্লাহ্র রূহ্ তালুতকে সম্পূর্ণভাবে নিজের বশে আনলেন, আর তাতে তিনি ঐ নবীদের মাঝখানে গিয়ে আল্লাহ্র দেওয়া কথা বলতে লাগলেন।
11. যারা তালুতকে আগে থেকেই চিনত তারা তাঁকে নবীদের সংগে আল্লাহ্র দেওয়া কথা বলতে দেখে একে অন্যকে বলতে লাগল, “কীশের ছেলের এ কি হল? তালুতও কি তবে নবীদের মধ্যে একজন?”
12. তাতে সেখানকার একজন লোক বলল, “কিন্তু এরা কাদের ছেলে?” সেইজন্য “তালুতও কি নবীদের মধ্যে একজন?” এই কথাটা চল্তি কথা হয়ে উঠল।
13. আল্লাহ্র দেওয়া কথা বলা শেষ করে তালুত এবাদতের উঁচু স্থানে উঠে গেলেন।
14. তালুতের চাচা তালুত ও তাঁর চাকরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কোথায় গিয়েছিলে?”তালুত বললেন, “গাধীগুলো খুঁজতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেগুলো কোথাও না পেয়ে আমরা শামুয়েলের কাছে গিয়েছিলাম।”
15. তালুতের চাচা বললেন, “আমাকে বল, শামুয়েল তোমাদের কি বলেছেন?”
16. তালুত তাঁর চাচাকে বললেন, “তিনি আমাদের স্পষ্টই বলে দিলেন যে, গাধীগুলো পাওয়া গেছে।” কিন্তু তাঁর রাজত্ব করা সম্বন্ধে শামুয়েল তাঁকে যে কথা বলেছিলেন তা তিনি তাঁর চাচাকে বললেন না।
17. পরে শামুয়েল মিসপাতে মাবুদের সামনে বনি-ইসরাইলদের ডেকে জমায়েত করলেন।
18. তিনি তাদের বললেন, “ইসরাইলীয়দের মাবুদ আল্লাহ্ বলছেন, ‘মিসর দেশ থেকে আমিই তোমাদের বের করে এনেছি, আর মিসরীয়দের হাত থেকে এবং যে রাজ্যগুলো তোমাদের উপর জুলুম করত তাদের হাত থেকে আমিই তোমাদের উদ্ধার করেছি।’ ”
19. শামুয়েল আরও বললেন, “কিন্তু তোমাদের আল্লাহ্, যিনি সমস্ত বিপদ ও দুর্দশা থেকে তোমাদের উদ্ধার করেছেন, আজকাল তাঁকেই তোমরা অগ্রাহ্য করছ আর বলছ, ‘আমাদের উপরে একজন বাদশাহ্ নিযুক্ত করুন।’ কাজেই এখন তোমরা যে যার গোষ্ঠী ও বংশ অনুসারে মাবুদের সামনে উপস্থিত হও।”