14. হীরম মোট সাড়ে চার টনেরও বেশী সোনা বাদশাহ্কে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
15. বাদশাহ্ সোলায়মান মাবুদের ঘর, নিজের রাজবাড়ী, মিল্লো, জেরুজালেমের দেয়াল, হাৎসোর, মগিদ্দো ও গেষর তৈরী করবার জন্য অনেক লোকদের কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন।
16. এর আগে মিসরের বাদশাহ্ ফেরাউন গেষর অধিকার করে সেটা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন আর সেখানকার বাসিন্দা কেনানীয়দের হত্যা করেছিলেন। পরে তিনি জায়গাটা তাঁর মেয়েকে, অর্থাৎ সোলায়মানের স্ত্রীকে বিয়ের যৌতুক হিসাবে দিয়েছিলেন।
17. সেইজন্য সোলায়মান গেষর আবার তৈরী করে নিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি নীচের বৈৎ-হোরোণ,
18. বালৎ, এহুদার মরুভূমির তামর,
19. তাঁর সমস্ত ভাণ্ডার-শহর এবং রথ ও ঘোড়সওয়ারদের জন্য শহর তৈরী করলেন, অর্থাৎ জেরুজালেম, লেবানন ও তাঁর শাসনের অধীনে যে সব রাজ্য ছিল সেগুলোর মধ্যে যা যা তিনি তৈরী করতে চেয়েছিলেন তা সবই করলেন।
20-21. যারা ইসরাইলীয় ছিল না, অর্থাৎ যে সব আমোরীয়, হিট্টীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দের বংশধরেরা তখনও দেশে বেঁচে ছিল, যাদের ইসরাইলীয়রা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারে নি, তাদেরই সোলায়মান গোলাম হিসাবে কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন, আর তারা আজও সেই কাজ করছে।
22. কিন্তু তিনি কোন ইসরাইলীয়কে গোলাম করেন নি; তারা ছিল তাঁর যোদ্ধা, তাঁর কর্মচারী, তাঁর অধীন শাসনকর্তা, তাঁর সেনাপতি এবং তাঁর রথচালক ও ঘোড়সওয়ারদের সেনাপতি।
23. এছাড়া সোলায়মানের সব কাজের দেখাশোনার ভার-পাওয়া পাঁচশো পঞ্চাশ জন প্রধান কর্মচারী ছিল। যে লোকেরা কাজ করত এরা তাদের কাজ তদারক করত।
24. ফেরাউনের মেয়ে দাউদ-শহর ছেড়ে তাঁর জন্য সোলায়মানের তৈরী করা রাজবাড়ীতে চলে আসলে পর সোলায়মান মিল্লো তৈরী করলেন।
25. মাবুদের উদ্দেশে সোলায়মান যে কোরবানগাহ্টা তৈরী করেছিলেন সেখানে বছরে তিনবার তিনি পোড়ানো-কোরবানী ও যোগাযোগ-কোরবানী দিতেন। সেই সংগে তিনি মাবুদের সামনে ধূপও জ্বালাতেন। তাহলে দেখা যায়, সোলায়মান বায়তুল-মোকাদ্দসের সব কাজ শেষ করেছিলেন।
26. বাদশাহ্ সোলায়মান আকাবা উপসাগরের তীরে ইদোমের এলৎ শহরের কাছে ইৎসিয়োন-গেবরে কতগুলো জাহাজ তৈরী করলেন।
27. সোলায়মানের লোকদের সংগে নৌবহরে কাজ করবার জন্য হীরম তাঁর কয়েকজন দক্ষ নাবিক পাঠিয়ে দিলেন।