10. মাবুদের ঘর ও রাজবাড়ী তৈরী করতে সোলায়মানের বিশ বছর লেগেছিল।
11. টায়ারের বাদশাহ্ হীরম সোলায়মানের ইচ্ছামত এরস ও বেরস কাঠ ও সোনা যুগিয়েছিলেন বলে বাদশাহ্ সোলায়মান গালীল দেশের বিশটা গ্রাম তাঁকে দান করলেন।
12. হীরম সেই গ্রামগুলো দেখবার জন্য টায়ার থেকে আসলেন, কিন্তু সেগুলো দেখে তিনি সন্তুষ্ট হলেন না।
13. তিনি সোলায়মানকে বললেন, “ভাই, এগুলো কি রকম গ্রাম আপনি আমাকে দিলেন?” তিনি সেগুলোর নাম দিলেন কাবূল দেশ (যার মানে “কোন কাজের নয়”)। আজও সেগুলোর সেই নামই রয়ে গেছে।
14. হীরম মোট সাড়ে চার টনেরও বেশী সোনা বাদশাহ্কে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
15. বাদশাহ্ সোলায়মান মাবুদের ঘর, নিজের রাজবাড়ী, মিল্লো, জেরুজালেমের দেয়াল, হাৎসোর, মগিদ্দো ও গেষর তৈরী করবার জন্য অনেক লোকদের কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন।
16. এর আগে মিসরের বাদশাহ্ ফেরাউন গেষর অধিকার করে সেটা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন আর সেখানকার বাসিন্দা কেনানীয়দের হত্যা করেছিলেন। পরে তিনি জায়গাটা তাঁর মেয়েকে, অর্থাৎ সোলায়মানের স্ত্রীকে বিয়ের যৌতুক হিসাবে দিয়েছিলেন।
17. সেইজন্য সোলায়মান গেষর আবার তৈরী করে নিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি নীচের বৈৎ-হোরোণ,
18. বালৎ, এহুদার মরুভূমির তামর,
19. তাঁর সমস্ত ভাণ্ডার-শহর এবং রথ ও ঘোড়সওয়ারদের জন্য শহর তৈরী করলেন, অর্থাৎ জেরুজালেম, লেবানন ও তাঁর শাসনের অধীনে যে সব রাজ্য ছিল সেগুলোর মধ্যে যা যা তিনি তৈরী করতে চেয়েছিলেন তা সবই করলেন।
20-21. যারা ইসরাইলীয় ছিল না, অর্থাৎ যে সব আমোরীয়, হিট্টীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দের বংশধরেরা তখনও দেশে বেঁচে ছিল, যাদের ইসরাইলীয়রা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারে নি, তাদেরই সোলায়মান গোলাম হিসাবে কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন, আর তারা আজও সেই কাজ করছে।
22. কিন্তু তিনি কোন ইসরাইলীয়কে গোলাম করেন নি; তারা ছিল তাঁর যোদ্ধা, তাঁর কর্মচারী, তাঁর অধীন শাসনকর্তা, তাঁর সেনাপতি এবং তাঁর রথচালক ও ঘোড়সওয়ারদের সেনাপতি।
23. এছাড়া সোলায়মানের সব কাজের দেখাশোনার ভার-পাওয়া পাঁচশো পঞ্চাশ জন প্রধান কর্মচারী ছিল। যে লোকেরা কাজ করত এরা তাদের কাজ তদারক করত।