4. ঘরটার দেয়ালের মধ্যে তিনি জানালার মত করে সরু জালি-দেওয়া জায়গা তৈরী করলেন।
5. প্রধান কামরা ও মহাপবিত্র স্থানের তিন পাশের দেয়ালের গা ঘেঁষে তিনি একটা তিন তলা ঘর তৈরী করলেন। তার মধ্যে অনেকগুলো কামরা ছিল।
6. নীচের তলার কামরাগুলো ছিল পাঁচ হাত চওড়া, দ্বিতীয় তলার কামরাগুলো ছিল ছয় হাত চওড়া এবং তৃতীয় তলার কামরাগুলো ছিল সাত হাত চওড়া, কারণ বায়তুল-মোকাদ্দসের দেয়ালের বাইরের দিকের গায়ে কয়েকটা তাক তৈরী করা হয়েছিল। তার ফলে ঐ তিন তলা ঘর তৈরী করবার জন্য বায়তুল-মোকাদ্দসের দেয়ালের গায়ে কোন বীম লাগাবার দরকার হল না।
7. খাদের যে সব পাথর কেটে ঠিক করা হয়েছিল কেবল সেগুলোই এনে বায়তুল-মোকাদ্দস তৈরীর কাজে ব্যবহার করা হল। বায়তুল-মোকাদ্দস তৈরী করবার সময় সেখানে কোন হাতুড়ি, কুড়াল কিংবা অন্য কোন লোহার যন্ত্রপাতির আওয়াজ শোনা গেল না।
8. নীচের তলায় ঢুকবার পথ ছিল বায়তুল-মোকাদ্দসের দক্ষিণ দিকে; সেখান থেকে একটা সিঁড়ি দোতালা এবং তার পরে তিন তলায় উঠে গেছে।
9. এইভাবে তিনি বায়তুল-মোকাদ্দস তৈরী করেছিলেন এবং তা শেষও করেছিলেন। তিনি এরস কাঠের তক্তা ও বীম দিয়ে তার ছাদও দিয়েছিলেন।
33-34. প্রধান কামরার দরজার জন্য তিনি জলপাই কাঠ দিয়ে একটা চারকোণা ফ্রেম তৈরী করলেন এবং বেরস কাঠ দিয়ে দরজার দু’টা পাল্লা তৈরী করলেন। কব্জা লাগানো দু’টা তক্তা দিয়ে প্রত্যেকটা পাল্লা তৈরী করা হল। তাতে পাল্লাগুলো ভাঁজ করা যেত।
35. সেই পাল্লাগুলোর উপর তিনি কারুবী, খেজুর গাছ ও ফোটা ফুল খোদাই করে সোনার পাত দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
36. সুন্দর করে কাটা তিন সারি পাথর ও এরস গাছের এক সারি মোটা কাঠ দিয়ে তিনি ভিতরের উঠানের চারপাশের দেয়াল তৈরী করলেন।
37. চতুর্থ বছরের সিব মাসে মাবুদের ঘরের ভিত্তি গাঁথা হয়েছিল।
38. পরিকল্পনা অনুসারে বায়তুল-মোকাদ্দসের সমস্ত কাজ এগারো বছরের বূল মাসে, অর্থাৎ অষ্টম মাসে শেষ হয়েছিল। বায়তুল-মোকাদ্দস তৈরী করতে সোলায়মানের সাত বছর সময় লেগেছিল।