13. আমি বনি-ইসরাইলদের মধ্যে বাস করব এবং আমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের আমি ত্যাগ করব না।”
14. সোলায়মান বায়তুল-মোকাদ্দস তৈরী করে এইভাবে শেষ করলেন।
15. মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত এরস কাঠের তক্তা দিয়ে তিনি দেয়ালের ভিতরের দিকটা ঢেকে দিলেন এবং মেঝেটা ঢেকে দিলেন বেরস কাঠের তক্তা দিয়ে।
16. বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যে মহাপবিত্র স্থান নামে একটা ভিতরের কামরা তৈরী করবার জন্য তিনি বায়তুল-মোকাদ্দসের পিছনের অংশের বিশ হাত জায়গা মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত এরস কাঠের তক্তা দিয়ে আলাদা করে নিলেন।
17. মহাপবিত্র স্থানের সামনে প্রধান বড় কামরাটি ছিল চল্লিশ হাত লম্বা।
18. বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যেকার এরস কাঠের উপরে লতানো গাছের ফল ও ফোটা ফুল খোদাই করা হল। সব কিছু এরস কাঠের ছিল, কোন পাথর দেখা যাচ্ছিল না।
19. বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যে মাবুদের সাক্ষ্য-সিন্দুকটি বসাবার জন্য সোলায়মান এইভাবে মহাপবিত্র স্থানটা প্রস্তুত করলেন।
20. সেই স্থানটা ছিল বিশ হাত লম্বা, বিশ হাত চওড়া ও বিশ হাত উঁচু। খাঁটি সোনা দিয়ে তিনি তার ভিতরটা মুড়িয়ে দিলেন এবং ধূপগাহ্টাও তিনি এরস কাঠ দিয়ে ঢেকে দিলেন।
21. বায়তুল-মোকাদ্দসের প্রধান কামরার দেয়াল তিনি খাঁটি সোনা দিয়ে ঢেকে দিলেন এবং মহাপবিত্র স্থানের সামনে সোনার শিকল লাগিয়ে দিলেন। সেই মহাপবিত্র স্থানের দেয়ালও তিনি সোনা দিয়ে ঢেকে দিলেন।
22. বায়তুল-মোকাদ্দসের ভিতরের সমস্ত জায়গাটা তিনি এইভাবে সোনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন। মহাপবিত্র স্থানের ধূপগাহ্ও তিনি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
23-26. তিনি মহাপবিত্র স্থানের মধ্যে জলপাই কাঠের এক জোড়া কারুবী তৈরী করলেন। দু’টি কারুবীরই আকার ও গড়ন একই রকমের ছিল। তাদের প্রত্যেকটি দশ হাত করে উঁচু ছিল। প্রত্যেকটি কারুবীর দু’টি ডানাই ছিল পাঁচ হাত করে লম্বা। এক ডানার আগা থেকে অন্য ডানাটির আগা পর্যন্ত ছিল দশ হাত।
27. মহাপবিত্র স্থানে তিনি সেই কারুবী দু’টি ডানা মেলে দেওয়া অবস্থায় রাখলেন। একটি কারুবীর ডানা এক দেয়াল ও অন্য কারুবীটির ডানা অন্য দেয়াল ছুঁয়ে রইল আর ঘরের মাঝখানে তাদের অন্য ডানা দু’টি একটি অন্যটির আগা ছুঁয়ে রইল।
28. তিনি কারুবী দু’টিকে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
29. বায়তুল-মোকাদ্দসের দু’টি কামরার সমস্ত দেয়ালে কারুবী, খেজুর গাছ এবং ফোটা ফুল খোদাই করা ছিল।
30. কামরা দু’টির মেঝেও তিনি সোনা দিয়ে ঢেকে দিলেন।
31. মহাপবিত্র স্থানের দরজাটা তিনি জলপাই কাঠ দিয়ে তৈরী করলেন। সেই দরজার ফ্রেমের পাঁচটা কোণা ছিল।