7. “হে আমার মাবুদ আল্লাহ্, আমার পিতা দাউদের জায়গায় তুমি এখন তোমার গোলামকে বাদশাহ্ করেছ। কিন্তু বয়স আমার খুবই কম, তাই জানি না কি করে আমার কর্তব্য পালন করতে হবে।
8. এখানে তোমার গোলাম তোমার বেছে নেওয়া বান্দাদের মধ্যে রয়েছে। তারা এমন একটা মহাজাতি যে, তাদের সংখ্যা গণনা করা যায় না।
9. সেইজন্য তোমার বান্দাদের শাসন করবার জন্য এবং কোনটা ঠিক বা কোনটা ভুল তা জানবার জন্য তুমি তোমার গোলামের অন্তরে বুঝবার ক্ষমতা দাও; কারণ কার সাধ্য আছে তোমার এই মহাজাতিকে শাসন করে?”
10. সোলায়মান এটাই চেয়েছেন দেখে মাবুদ খুশী হলেন।
11. আল্লাহ্ তাঁকে বললেন, “তুমি অনেক আয়ু, কিংবা নিজের জন্য ধন-সম্পদ, কিংবা তোমার শত্রুদের মৃত্যু না চেয়ে যখন সুবিচার করবার জন্য বুঝবার ক্ষমতা চেয়েছ,
12. তখন তুমি যা চেয়েছ তা-ই আমি তোমাকে দেব। আমি তোমার অন্তরে এমন জ্ঞান ও বিচারবুদ্ধি দিলাম যার জন্য দেখা যাবে যে, এর আগে তোমার মত আর কেউ ছিল না আর পরেও হবে না।
13. এছাড়া যা তুমি চাও নি তাও আমি তোমাকে দিলাম। আমি তোমাকে এমন ধন-দৌলত ও সম্মান দিলাম যার ফলে তোমার জীবনকালে বাদশাহ্দের মধ্যে আর কেউ তোমার সমান হবে না।
14. তোমার পিতা দাউদের মত করে যদি তুমি আমার সব নিয়ম ও হুকুম পালন কর এবং আমার পথে চল তবে আমি তোমাকে অনেক আয়ু দেব।”
15. এর পর সোলায়মান জেগে উঠলেন আর বুঝতে পারলেন যে, ওটা একটা স্বপ্ন ছিল।পরে সোলায়মান জেরুজালেমে ফিরে গিয়ে মাবুদের সাক্ষ্য-সিন্দুকের সামনে দাঁড়ালেন এবং অনেক পশু দিয়ে পোড়ানো-কোরবানী ও যোগাযোগ-কোরবানী দিলেন। তারপর তাঁর সমস্ত কর্মচারীদের জন্য একটা মেজবানী দিলেন।
16. এক সময়ে দু’জন বেশ্যা স্ত্রীলোক এসে বাদশাহ্র সামনে দাঁড়াল।
17. তাদের মধ্যে একজন বলল, “হে হুজুর, এই স্ত্রীলোকটি এবং আমি একই ঘরে থাকি। সে সেখানে থাকবার সময় আমার একটি ছেলে হল।
18. আমার ছেলের জন্মের তিন দিন পরে এই স্ত্রীলোকটিরও একটি ছেলে হল। ঘরে আর কেউ ছিল না, কেবল আমরা দু’জনই ছিলাম।