45. যিহোশাফটের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা “এহুদার বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
46. তাঁর বাবা আসার রাজত্বের পরেও যে সব পুরুষ মন্দির-বেশ্যারা বাকী রয়ে গিয়েছিল তিনি দেশ থেকে তাদের দূর করে দিয়েছিলেন।
47. সেই সময় ইদোম দেশে কোন বাদশাহ্ ছিল না। একজন রাজ-প্রতিনিধি সেখানে রাজত্ব করতেন।
48. ওফীরে গিয়ে সোনা আনবার জন্য যিহোশাফট কতগুলো বড় বড় তর্শীশ-জাহাজ তৈরী করলেন, কিন্তু সেগুলোর আর যাওয়া হল না, কারণ ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
49. তখন আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকেরা আপনার লোকদের সংগে জাহাজে যাক।” কিন্তু যিহোশাফট তাতে রাজী হলেন না।
50. পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে দাফন করা হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যিহোরাম বাদশাহ্ হলেন।
51. এহুদার বাদশাহ্ যিহোশাফটের রাজত্বের সতের বছরের সময় আহাবের ছেলে অহসিয় সামেরিয়াতে ইসরাইলের বাদশাহ্ হলেন। তিনি ইসরাইলের উপরে দুই বছর রাজত্ব করেছিলেন।
52. মাবুদের চোখে যা খারাপ তিনি তা-ই করতেন। তিনি তাঁর পিতা ও মায়ের মত এবং নবাটের ছেলে ইয়ারাবিমের মত চলতেন। এই ইয়ারাবিম যেমন ইসরাইলের লোকদের দিয়ে গুনাহ্ করিয়েছিলেন অহসিয়ও তা-ই করেছিলেন।
53. তিনি বাল দেবতার সেবা ও পূজা করতেন এবং তাঁর পিতা যেমন করেছিলেন তিনিও তেমনি করে ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্কে রাগিয়ে তুলেছিলেন।