42. যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে বাদশাহ্ হয়েছিলেন এবং পঁচিশ বছর জেরুজালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মা ছিলেন শিল্হির মেয়ে অসূবা।
43. যিহোশাফট সব ব্যাপারেই তাঁর পিতা আসার পথ ধরেই চলতেন, কখনও সেই পথ ছেড়ে যান নি। মাবুদের চোখে যা ঠিক তিনি তা-ই করতেন। কিন্তু পূজার উঁচু স্থানগুলো ধ্বংস করা হয় নি এবং লোকেরা সেখানে পশু কোরবানী করতে ও ধূপ জ্বালাতে থাকল।
44. ইসরাইলের বাদশাহ্র সংগে তিনি সন্ধি স্থাপন করেছিলেন।
45. যিহোশাফটের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা “এহুদার বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
46. তাঁর বাবা আসার রাজত্বের পরেও যে সব পুরুষ মন্দির-বেশ্যারা বাকী রয়ে গিয়েছিল তিনি দেশ থেকে তাদের দূর করে দিয়েছিলেন।
47. সেই সময় ইদোম দেশে কোন বাদশাহ্ ছিল না। একজন রাজ-প্রতিনিধি সেখানে রাজত্ব করতেন।
48. ওফীরে গিয়ে সোনা আনবার জন্য যিহোশাফট কতগুলো বড় বড় তর্শীশ-জাহাজ তৈরী করলেন, কিন্তু সেগুলোর আর যাওয়া হল না, কারণ ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
49. তখন আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকেরা আপনার লোকদের সংগে জাহাজে যাক।” কিন্তু যিহোশাফট তাতে রাজী হলেন না।
50. পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে দাফন করা হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যিহোরাম বাদশাহ্ হলেন।