10. তার সামনে দু’টা আসনে দু’জন খারাপ লোককে বসান। তারা এই বলে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিক যে, সে আল্লাহ্ ও বাদশাহ্র বিরুদ্ধে অপমানের কথা বলেছে। তারপর তাকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করুন।”
11. কাজেই নাবোতের শহরে বাসকারী বৃদ্ধ নেতারা ও গণ্যমান্য লোকেরা ঈষেবলের চিঠিতে লেখা নির্দেশমত কাজ করলেন।
12. তাঁরা রোজা রাখবার কথা ঘোষণা করে নাবোৎকে লোকদের মধ্যে একটা বিশেষ স্থান দিলেন।
13. তারপর দু’জন খারাপ লোক এসে নাবোতের সামনে বসে লোকদের কাছে তার বিরুদ্ধে এই সাক্ষ্য দিল যে, সে আল্লাহ্ ও বাদশাহ্র বিরুদ্ধে অপমানের কথা বলেছে। তারপর লোকেরা তাকে শহরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করল।
14. এর পর সেই নেতারা ঈষেবলের কাছে খবর পাঠালেন যে, নাবোৎকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়েছে।
15. নাবোৎকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়েছে শুনেই ঈষেবল আহাবকে বললেন, “যাও, যিষ্রিয়েলীয় নাবোৎ যে আংগুর ক্ষেতটা তোমার কাছে বিক্রি করতে চায় নি তার দখল নাও। সে আর বেঁচে নেই, মরে গেছে।”
16. নাবোৎ মারা গেছে শুনে আহাব নাবোতের আংগুর ক্ষেতের দখল নিতে গেলেন।
17. তখন তিশ্বীয় ইলিয়াসের উপর মাবুদের এই কালাম নাজেল হল,
18. “সামেরিয়াতে ইসরাইলের বাদশাহ্ আহাবের সংগে দেখা করতে যাও। সে এখন নাবোতের আংগুর ক্ষেতে আছে। সে ওটার দখল নেবার জন্য সেখানে গেছে।
19. তুমি তাকে বল যে, মাবুদ বলছেন, ‘তুমি কি একজন লোককে হত্যা করে তার সম্পত্তি দখল কর নি?’ তারপর তাকে বল যে, মাবুদ বলছেন, ‘কুকুরেরা যেখানে নাবোতের রক্ত চেটে খেয়েছে সেখানে তারা তোমার রক্ত, জ্বী, তোমারই রক্ত চেটে খাবে।’ ”
20. আহাব সেই কথা শুনে ইলিয়াসকে বললেন, “হে আমার শত্রু, এবার তুমি আমাকে পেয়েছ।”জবাবে ইলিয়াস বললেন, “জ্বী, পেয়েছি, কারণ মাবুদের চোখে যা খারাপ তা-ই করবার জন্য আপনি নিজেকে বিকিয়ে দিয়েছেন।