27. এইভাবে সোলায়মান অবিয়াথরকে মাবুদের ইমাম পদ থেকে সরিয়ে দিলেন। মাবুদ শীলোতে আলীর বংশ সম্বন্ধে যা বলেছিলেন তাঁর সেই কথা এইভাবে পূর্ণ হল।
28. এই সব খবর যোয়াবের কানে গেল। তিনি অবশালোমের পক্ষে না গেলেও আদোনিয়ের পক্ষে গিয়েছিলেন, তাই তিনি পালিয়ে মাবুদের তাম্বুতে গিয়ে কোরবানগাহের শিং ধরে রইলেন।
29. বাদশাহ্ সোলায়মানকে বলা হল যে, যোয়াব পালিয়ে মাবুদের তাম্বুতে গেছেন এবং কোরবানগাহের কাছে আছেন। তখন সোলায়মান যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে এই হুকুম দিলেন, “আপনি গিয়ে তাঁকে হত্যা করুন।”
30. কাজেই বনায় মাবুদের তাম্বুতে ঢুকে যোয়াবকে বললেন, “বাদশাহ্ আপনাকে বের হয়ে আসতে বলেছেন।”কিন্তু যোয়াব বললেন, “না, আমি এখানেই মরব।”বনায় বাদশাহ্কে সেই খবর জানিয়ে বললেন, “যোয়াব আমাকে এই জবাব দিয়েছেন।”
31. তখন বাদশাহ্ বনায়কে এই হুকুম দিলেন, “তিনি যা বলেছেন তা-ই করুন। তাঁকে হত্যা করে দাফন করে দিন। যোয়াব যে নির্দোষ লোকদের রক্তপাত করেছেন তার দোষ আপনি আমার ও আমার বাবার বংশ থেকে এইভাবে দূর করে দিন।
32. যে রক্তপাত তিনি করেছেন তার শোধ মাবুদ নেবেন, কারণ আমার পিতা দাউদের অজান্তে তিনি দু’জন লোককে হামলা করে হত্যা করেছিলেন। তাঁরা হলেন ইসরাইলের সৈন্যদলের সেনাপতি নেরের ছেলে অবনের আর এহুদার সৈন্যদলের সেনাপতি যেথরের ছেলে অমাসা। এই দু’জনই ছিলেন তাঁর চেয়ে আরও খাঁটি এবং আরও ভাল লোক।
33. তাঁদের রক্তপাতের দোষ যোয়াবের ও তাঁর বংশের লোকদের মাথার উপরে চিরকাল থাকুক। কিন্তু দাউদ ও তাঁর বংশের লোকদের উপর এবং তাঁর পরিবার ও তাঁর সিংহাসনের উপর মাবুদের শান্তি চিরকাল থাকুক।”
34. তখন যিহোয়াদার ছেলে বনায় গিয়ে যোয়াবকে হত্যা করলেন। তাঁকে মরুভূমিতে তাঁর নিজের বাড়ীতে দাফন করা হল।
35. বাদশাহ্ তখন যোয়াবের জায়গায় যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে সেনাপতি হিসাবে নিযুক্ত করলেন এবং অবিয়াথরের জায়গায় বসালেন ইমাম সাদোককে।
36. তারপর বাদশাহ্ লোক পাঠিয়ে শিমিয়িকে ডেকে এনে বললেন, “তুমি জেরুজালেমে একটা বাড়ী তৈরী করে সেখানেই থাকবে, অন্য কোথাও তোমার যাওয়া চলবে না।
37. যেদিন তুমি সেখান থেকে বের হয়ে কিদ্রোণ উপত্যকা পার হবে সেই দিন তুমি নিশ্চয় করে জেনে রেখো যে, তোমাকে মরতেই হবে; তোমার রক্তপাতের দোষ তোমার নিজের মাথার উপরেই পড়বে।”
38. জবাবে শিমিয়ি বাদশাহ্কে বললেন, “আপনি ভালই বলেছেন। আমার প্রভু মহারাজ যা বললেন আপনার গোলাম তা-ই করবে।” এর পর শিমিয়ি অনেক দিন জেরুজালেমে রইল।
39. কিন্তু তিন বছর পরে শিমিয়ির দু’জন গোলাম মাখার ছেলে গাতের বাদশাহ্ আখীশের কাছে পালিয়ে গেল। শিমিয়িকে বলা হল যে, তার গোলামেরা গাৎ শহরে আছে।