4. তুমি সেই স্রোতের পানি খাবে আর সেখানে তোমাকে খাবার দেবার জন্য আমি দাঁড়কাকদের ঠিক করে রেখেছি।”
5. কাজেই মাবুদ ইলিয়াসকে যা বললেন তিনি তা-ই করলেন। তিনি জর্ডানের পূর্ব দিকে করীৎ স্রোতের ধারে গিয়ে থাকতে লাগলেন।
6. দাঁড়কাকেরা সকালে ও বিকালে তাঁর জন্য রুটি ও গোশ্ত আনত এবং তিনি সেই স্রোতের পানি খেতেন।
7. দেশে বৃষ্টি না হওয়াতে কিছুকাল পরে সেই স্রোতের পানি শুকিয়ে গেল।
8. তখন মাবুদের এই কালাম ইলিয়াসের উপর নাজেল হল,
9. “তুমি এখন সিডনের সারিফতে গিয়ে থাক। তোমাকে খাবার যোগাবার জন্য আমি সেখানকার এক বিধবাকে ঠিক করে রেখেছি।”
10. সেইজন্য তিনি সারিফতে গেলেন। গ্রামে ঢুকবার পথে পৌঁছে তিনি একজন বিধবাকে কাঠ কুড়াতে দেখলেন। তিনি তাকে ডেকে বললেন, “আমার খাবার জন্য পাত্রে করে একটু পানি আনতে পারবে?”
11. সে যখন যাচ্ছিল তখন তিনি তাকে আবার ডেকে বললেন, “দয়া করে আমার জন্য এক টুকরা রুটিও এনো।”
12. জবাবে সেই বিধবা বলল, “আপনার মাবুদ আল্লাহ্র কসম খেয়ে বলছি যে, আমার কাছে একটাও রুটি নেই। পাত্রে কেবল এক মুঠো ময়দা আর ভাঁড়ে একটুখানি তেল রয়েছে। বাড়ী নিয়ে যাবার জন্য আমি কতগুলো কাঠ কুড়াচ্ছি; তা দিয়ে আমার ও আমার ছেলের জন্য কিছু খাবার তৈরী করব। তারপর তা খেয়ে আমরা মরব।”
13. ইলিয়াস তাকে বললেন, “ভয় কোরো না। যা বললে বাড়ী গিয়ে তা-ই কর। কিন্তু তোমার যা আছে তা থেকে আগে আমার জন্য একটা ছোট রুটি তৈরী করে নিয়ে এস। তারপর তোমার ও তোমার ছেলের জন্য রুটি তৈরী কোরো।
14. ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ এই কথা বলছেন যে, তিনি বৃষ্টি না দেওয়া পর্যন্ত ঐ ময়দার পাত্রটাও খালি হবে না আর তেলের ভাঁড়ও খালি হবে না।”
15. তখন সে গিয়ে ইলিয়াস তাকে যা করতে বলেছিলেন তা-ই করল। তাতে ইলিয়াস আর সেই স্ত্রীলোক ও তার ছেলেটি অনেক দিন পর্যন্ত খাবার খেতে থাকল।
16. ইলিয়াসের মধ্য দিয়ে মাবুদ যে কথা বলেছিলেন সেই অনুসারে ঐ ময়দার পাত্রটাও খালি হল না, তেলের ভাঁড়ও খালি হল না।