13. ইলিয়াস তাকে বললেন, “ভয় কোরো না। যা বললে বাড়ী গিয়ে তা-ই কর। কিন্তু তোমার যা আছে তা থেকে আগে আমার জন্য একটা ছোট রুটি তৈরী করে নিয়ে এস। তারপর তোমার ও তোমার ছেলের জন্য রুটি তৈরী কোরো।
14. ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ এই কথা বলছেন যে, তিনি বৃষ্টি না দেওয়া পর্যন্ত ঐ ময়দার পাত্রটাও খালি হবে না আর তেলের ভাঁড়ও খালি হবে না।”
15. তখন সে গিয়ে ইলিয়াস তাকে যা করতে বলেছিলেন তা-ই করল। তাতে ইলিয়াস আর সেই স্ত্রীলোক ও তার ছেলেটি অনেক দিন পর্যন্ত খাবার খেতে থাকল।
16. ইলিয়াসের মধ্য দিয়ে মাবুদ যে কথা বলেছিলেন সেই অনুসারে ঐ ময়দার পাত্রটাও খালি হল না, তেলের ভাঁড়ও খালি হল না।
17. কিছুদিন পরে সেই ঘরের মালিক ঐ স্ত্রীলোকটির ছেলের অসুখ হল। তার অবস্থা এত খারাপ হয়ে গেল যে, শেষে সে মারা গেল।
18. স্ত্রীলোকটি তখন ইলিয়াসকে বলল, “হে আল্লাহ্র বান্দা, আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি? আপনি কি আমাকে আমার গুনাহের কথা মনে করিয়ে দিতে আর আমার ছেলেকে হত্যা করতে এসেছেন?”
19. জবাবে ইলিয়াস বললেন, “তোমার ছেলেটিকে আমার কাছে দাও।” তিনি ছেলেটিকে সেই স্ত্রীলোকের কোল থেকে নিয়ে উপরের যে ঘরে তিনি থাকতেন সেখানে গেলেন এবং তাকে নিজের বিছানার উপর শুইয়ে দিলেন।
20. তারপর তিনি মাবুদকে ডেকে বললেন, “হে আল্লাহ্ আমার মাবুদ, আমি যে বিধবার বাড়ীতে থাকি তার ছেলের মৃত্যু ঘটিয়ে কেন তুমি তার উপর এই দুঃখ নিয়ে আসলে?”
21. তারপর তিনি তিন বার ছেলেটির উপরে লম্বা হয়ে শুয়ে মাবুদকে ডেকে বললেন, “হে আল্লাহ্ আমার মাবুদ, ছেলেটির প্রাণ তার মধ্যে ফিরে আসুক।”
22. মাবুদ ইলিয়াসের কথা শুনলেন এবং ছেলেটির প্রাণ তার মধ্যে ফিরে আসল আর সে বেঁচে উঠল।