41. সেই সময় আদোনিয় ও সমস্ত দাওয়াতী লোকেরা খাওয়ার শেষের দিকে সেই শব্দ শুনল। তূরীর আওয়াজ শুনে যোয়াব জিজ্ঞাসা করলেন, “শহরে এই সব গোলমাল হচ্ছে কেন?”
42. তাঁর কথা শেষ হতে না হতেই ইমাম অবিয়াথরের ছেলে যোনাথন সেখানে উপস্থিত হল। আদোনিয় তাকে বলল, “আসুন, আসুন। আপনি তো ভাল লোক, নিশ্চয়ই ভাল সংবাদ এনেছেন।”
43. জবাবে যোনাথন বলল, “মোটেই না। আমাদের প্রভু মহারাজ দাউদ সোলায়মানকে বাদশাহ্ করেছেন।
44. বাদশাহ্ তাঁর সংগে ইমাম সাদোক, নবী নাথন, যিহোয়াদার ছেলে বনায়, করেথীয় ও পলেথীয়দের পাঠিয়েছেন। তাঁরা তাঁকে বাদশাহ্র খ"চরের উপর বসিয়েছেন,
45. আর ইমাম সাদোক ও নবী নাথন জিহোনে তাঁকে রাজপদে অভিষেক করেছেন। সেখান থেকে লোকেরা আনন্দ করতে করতে ফিরে গিয়েছে আর শহরে সেই গোলমালই হচ্ছে। সেই আওয়াজই আপনারা শুনতে পাচ্ছেন।
46-48. এছাড়া সোলায়মান রাজ-সিংহাসনেও বসেছেন, আর বাদশাহ্র কর্মচারীরা আমাদের প্রভু বাদশাহ্ দাউদকে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছে, ‘আপনার আল্লাহ্ আপনার নামের চেয়েও সোলায়মানের নাম মহান করুন এবং আপনার রাজ্যের চেয়েও তাঁর রাজ্য আরও গৌরবযুক্ত করুন।’ বাদশাহ্ বিছানার উপরেই উবুড় হয়ে আল্লাহ্কে সেজদা করে বলেছেন, ‘ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র প্রশংসা হোক। আমার সিংহাসনের অধিকারীকে আজ তিনি আমাকে দেখতে দিলেন।’ ”
49. এই কথা শুনে আদোনিয়ের দাওয়াতী সব লোকেরা খুব ভয় পেল এবং উঠে যে যার পথে চলে গেল।
50. কিন্তু আদোনিয় সোলায়মানের ভয়ে গিয়ে কোরবানগাহের শিং ধরে রইল।
51. তখন সোলায়মানকে কেউ একজন বলল যে, আদোনিয় তাঁর ভয়ে কোরবানগাহের শিং আঁকড়ে ধরেছে। সে বলেছে, “বাদশাহ্ সোলায়মান আজ আমার কাছে কসম খান যে, তিনি তাঁর গোলামকে হত্যা করবেন না।”