4. অর্থাৎ ভবিষ্যতে এমন একটা সম্পত্তি পাবার আশ্বাস আমরা পেয়েছি যা কখনও ধ্বংস হবে না, যাতে খারাপ কিছু থাকবে না এবং যা চিরকাল নতুন থাকবে। এই সম্পত্তি তোমাদের জন্য বেহেশতে জমা করা আছে।
5. তোমরা সম্পূর্ণভাবে নাজাত না পাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ্র শক্তিতে ঈমানের মধ্য দিয়ে তোমাদের নিরাপদে রাখা হচ্ছে। শেষ সময়ে প্রকাশিত হবার জন্য সেই নাজাতের আয়োজন করে রাখা হয়েছে।
6. অবশ্য যদিও কিছুকালের জন্য নানা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে হয়তো এখন তোমাদের দুঃখ পেতে হচ্ছে, তবুও নাজাত পাবার আশায় তোমাদের মন আনন্দে ভরে উঠছে।
7. এই সব পরীক্ষা আসে যেন তোমাদের ঈমান খাঁটি বলে প্রমাণিত হয়, আর তার ফলে ঈসা মসীহ্ প্রকাশিত হবার সময়ে তোমরা প্রশংসা, গৌরব ও সম্মান পাও। যে সোনা ক্ষয় হয়ে যাবে তাকেও আগুনে খাঁটি করে নেওয়া হয়; কিন্তু তোমাদের ঈমানের দাম তো সেই সোনার চেয়ে আরও বেশী।
8. যদিও তোমরা মসীহ্কে দেখ নি তবুও তোমরা তাঁকে মহব্বত কর; যদিও এখন তোমরা তাঁকে দেখতে পাচ্ছ না তবুও তোমরা তাঁর উপর বিশ্বাস করছ, আর যে আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না ও যা বেহেশতী মহিমায় পরিপূর্ণ, সেই আনন্দে তোমরা আনন্দিত হচ্ছ;
9. কারণ তোমাদের ঈমানের শেষ ফল তোমরা পেতে যাচ্ছ, আর তা হল তোমাদের সম্পূর্ণ নাজাত।
10. যে দোয়া তোমাদের পাবার কথা তার বিষয়ে যে সব নবীরা অনেক আগে বলে গেছেন, তাঁরা এই নাজাতের বিষয় জানবার জন্য অনেক খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন।
11. তাঁদের দিলে মসীহের রূহ্ আগেই সাক্ষ্য দিয়ে বলেছিলেন যে, মসীহ্কে কষ্টভোগ করতে হবে ও তারপর তিনি মহিমা লাভ করবেন। নবীরা জানতে চেয়েছিলেন মসীহের সেই রূহ্ কোন্ সময় এবং কোন্ অবস্থার কথা তাঁদের জানাচ্ছিলেন।
12. কিন্তু আল্লাহ্ তাঁদের দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁরা যে সব কথা বলছিলেন তার দ্বারা তাঁরা নিজেদের সেবা না করে তোমাদের সেবাই করছিলেন। বেহেশত থেকে পাঠানো পাক-রূহের পরিচালনায় যাঁরা তোমাদের কাছে মসীহের বিষয়ে সুসংবাদ তবলিগ করেছেন তাঁরা নবীদের সেই সব কথাই তোমাদের জানিয়েছেন। এমন কি, ফেরেশতারা পর্যন্ত এই সব বিষয়ে জানতে আগ্রহী।
13. এইজন্য তোমাদের মনকে জাগিয়ে তোল ও নিজেদের দমনে রাখ। ঈসা মসীহ্ যখন প্রকাশিত হবেন তখন তোমরা যে দোয়া পাবে সেই দোয়া পাওয়ার পূর্ণ আশা নিয়ে অপেক্ষা কর।