3. যাতে এই সব দুঃখ-কষ্টের মধ্যে তোমরা কেউ পিছিয়ে না যাও। তোমরা নিজেরাই জান যে, দুঃখ-কষ্ট আমাদের জন্য ঠিক করাই আছে।
4. দুঃখ-কষ্ট যে আমাদের উপর আসবেই সেই কথা তোমাদের সংগে থাকবার সময়ে আমরা বারবারই বলেছিলাম, আর তোমরা জান যে, ঠিক তা-ই ঘটেছে।
5. সেইজন্য আমি যখন আর সহ্য করতে পারলাম না তখন ঈমানের দিক থেকে তোমরা কি অবস্থায় আছ তা জানবার জন্যই তীমথিয়কে পাঠিয়েছিলাম। আমার ভয় হচ্ছিল, হয়তো শয়তান তোমাদের লোভ দেখিয়েছে আর আমাদের পরিশ্রম সব নিষ্ফল হয়ে গেছে।
6. এখন তীমথিয় তোমাদের কাছ থেকে আমাদের কাছে ফিরে এসে তোমাদের মহব্বত ও ঈমান সম্বন্ধে ভাল খবরই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহব্বতের মনোভাব নিয়ে তোমরা সব সময় আমাদের মনে করে থাক, আর আমরা যেমন তোমাদের দেখতে চাইছি তেমনি তোমরাও আমাদের দেখতে চাইছ।
7. এইজন্য ভাইয়েরা, তীমথিয়ের মুখে তোমাদের ঈমানের কথা শুনে আমাদের সব যন্ত্রণা ও কষ্টের মধ্যেও আমরা সান্ত্বনা পেয়েছি।
8. প্রভুর উপর তোমাদের ঈমান স্থির থাকলেই আমাদের জীবন ধন্য।
9. তোমাদের দরুন আল্লাহ্র সামনে আমাদের যে আনন্দ, তার বদলে কেমন করে যে তাঁকে তোমাদের জন্য শুকরিয়া জানাব তা আমরা জানি না।
10. আমরা দিনরাত আল্লাহ্র কাছে দিল থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি যেন আমরা তোমাদের দেখতে পাই এবং তোমাদের ঈমানের মধ্যে যে অভাব আছে তা পূরণ করতে পারি।
11. আমাদের পিতা ও আল্লাহ্ নিজে এবং আমাদের হযরত ঈসা যেন তোমাদের কাছে যাবার পথ ঠিক করে দেন।
12. প্রভু করুন, আমরা যেমন তোমাদের মহব্বত করি ঠিক তেমনি করে তোমাদেরও একের প্রতি অন্যের, এমন কি, সকলের প্রতি মহব্বত যেন বেড়ে উঠে উপ্চে পড়ে।
13. তাহলে তিনি তোমাদের দিল স্থির করবেন, যাতে আমাদের হযরত ঈসা যখন তাঁর নিজের সমস্ত বান্দাদের সংগে নিয়ে আসবেন তখন আমাদের পিতা ও আল্লাহ্র সামনে তোমরা নিখুঁত এবং পবিত্র হও।