4. বরং যোগ্য মনে করে সুসংবাদ জানাবার ভার আল্লাহ্ আমাদের উপর দিয়েছেন বলেই আমরা সেই হিসাবে কথা বলছি। মানুষকে সন্তুষ্ট করবার জন্য আমরা এই কথা বলছি না, কিন্তু যিনি আমাদের দিল যাচাই করে দেখেন সেই আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করবার জন্যই বলছি।
5. তোমরা জান আমরা কখনও তোষামোদ করে কথা বলি নি, আর লোভকে ঢেকে রেখেও যে ছলনা করে কোন কথা আমরা বলি নি, আল্লাহ্ তার সাক্ষী।
6. মানুষের কাছ থেকে, অর্থাৎ তোমাদের বা অন্য কারও কাছ থেকে আমরা প্রশংসা পাবার চেষ্টা করি নি। মসীহের সাহাবী হিসাবে আমাদের অধিকার অবশ্য আমরা তোমাদের উপর খাটাতে পারতাম,
7. কিন্তু তার বদলে মা যেমন তাঁর নিজের সন্তানদের আদর-যত্ন করেন, তোমাদের মধ্যে থাকবার সময়ে আমরাও তোমাদের সংগে সেই রকমই নরম ব্যবহার করেছিলাম।
8. তোমাদের উপর গভীর মায়া-মমতা থাকাতে তোমাদের কেবল আল্লাহ্র সুসংবাদ দিতে নয়, তোমাদের জন্য নিজেদের প্রাণ দিতেও আমরা রাজী ছিলাম, কারণ আমাদের কাছে তোমরা খুবই প্রিয়।
9. ভাইয়েরা, আমাদের পরিশ্রম আর কষ্টের কথা নিশ্চয়ই তোমাদের মনে আছে। তোমাদের কাছে আল্লাহ্র সুসংবাদ তবলিগ করবার সময় আমরা দিনরাত পরিশ্রম করেছি, যাতে আমরা তোমাদের কারও উপরে বোঝা হয়ে না পড়ি।
10. তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের সংগে আমাদের ব্যবহার যে পবিত্র, সৎ ও নিখুঁত ছিল, তার সাক্ষী তোমরাও আছ আর আল্লাহ্ও আছেন।
13. আমরা সব সময় আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানাচ্ছি, কারণ আল্লাহ্র কালাম আমাদের কাছ থেকে শুনে যখন তোমরা ঈমান এনেছিলে তখন তোমরা তা মানুষের বলে নয়, কিন্তু আল্লাহ্র কালাম বলেই গ্রহণ করেছিলে। আর সত্যিই তা আল্লাহ্রই কালাম। তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের দিলে সেই কালামই কাজ করছে।
14. ভাইয়েরা, এহুদিয়া প্রদেশে মসীহ্ ঈসার সংগে যুক্ত আল্লাহ্র যে জামাতগুলো আছে, তোমাদের অবস্থা তাদের মতই। ইহুদীদের হাতে তারা যে সব দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছে, তোমরাও নিজের দেশের লোকদের হাতে সেই একই রকম দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছ।
15. ঐ ইহুদীরাই হযরত ঈসাকে ও নবীদের হত্যা করেছিল, আর আমাদের উপরও তারা জুলুম করেছে। তারা আল্লাহ্কে অসন্তুষ্ট করে, আর সমস্ত মানুষের উপর তাদের শত্রুভাব আছে।