10. এছাড়া ভাল কাজের জন্য তার সুনাম থাকতে হবে। এই সব ভাল কাজের মধ্যে রয়েছে- ছেলেমেয়ে মানুষ করা, মেহমানদারী করা, আল্লাহ্র বান্দাদের পা ধোয়ানো, যারা কষ্টে পড়েছে তাদের সাহায্য করা, আর অন্যান্য সৎ কাজে যোগ দেওয়া।
11. যুবতী বিধবাদের নাম বিধবার তালিকায় লিখো না, কারণ যখন তাদের শরীরের কামনা-বাসনা চঞ্চল হয়ে ওঠে এবং মসীহের প্রতি তাদের ভয় কমে আসে তখন তারা বিয়ে করতে চায়।
12. এতে তারা তাদের আগের ওয়াদা ভাংগে বলে নিজেদের উপর শাস্তি ডেকে আনে।
13. এছাড়া তারা বাড়ী বাড়ী ঘুরে অলস হতে শেখে। তারা যে কেবল অলস হয় তা নয়, কিন্তু বাজে কথা বলতে ও পরের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শেখে এবং যা তাদের বলা উচিত নয় সেই সব কথা বলে।
14. সেইজন্য আমি এই উপদেশ দিই যে, যুবতী বিধবারা বিয়ে করুক, সন্তানের মা হোক, নিজের নিজের সংসারের দেখাশোনা করুক এবং নিন্দা করবার জন্য শত্রুদের কোন সুযোগ না দিক।
15. এর মধ্যেই তো কয়েকজন বিধবা ফিরে গিয়ে শয়তানের পথে চলছে।
16. ঈসায়ী ঈমানদার কোন স্ত্রীলোকের ঘরে কয়েকজন বিধবা থাকলে সেই স্ত্রীলোকই তাদের দেখাশোনা করুক। এই সব বিধবার ভার জামাতের উপর চাপানো উচিত নয়, যাতে যে সব বিধবার কেউ নেই জামাত তাদের দেখাশোনা করতে পারে।
17. জামাতের যে সব প্রধান নেতারা ভালভাবে জামাতের পরিচালনা করেন, বিশেষ করে যাঁরা আল্লাহ্র কালাম তবলিগ ও শিক্ষা দান করবার জন্য পরিশ্রম করেন, তাঁদের পাওনা দ্বিগুণ হওয়া উচিত।
18. পাক-কিতাবে আছে, “শস্য মাড়াই করবার সময়ে বলদের মুখে জাল্তি বেঁধো না।” আরও লেখা আছে, “যে কাজ করে সে বেতন পাবার যোগ্য।”
19. দুই বা তিনজন সাক্ষীর কথা ছাড়া জামাতের কোন প্রধান নেতার বিরুদ্ধে কোন দোষের কথায় কান দিয়ো না।