34. কাজেই তোমরা তোমাদের মনকে জাগিয়ে তোল এবং আর গুনাহ্ কোরো না। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্কে চেনেই না; আমি তোমাদের লজ্জা দেবার জন্য এই কথা বলছি।
35. কেউ হয়তো বলবে, “মৃতদের কেমন করে জীবিত করে তোলা হবে? কেমন শরীর নিয়েই বা তারা উঠবে?”
36. তুমি তো মুর্খ! তুমি নিজে যে বীজ লাগাও তা না মরলে তো চারা গজিয়ে ওঠে না।
37. তোমার লাগানো বীজ থেকে যে চারা হয় তা তুমি লাগাও না বরং একটা মাত্র বীজই লাগাও- সেই বীজ গমের হোক বা অন্য কোন শস্যের হোক।
38. কিন্তু আল্লাহ্ নিজের ইচ্ছামতই সেই বীজকে শরীর দিয়ে থাকেন। তিনি প্রত্যেক বীজকেই তার উপযুক্ত শরীর দান করে থাকেন।
39. সব গোশ্তই এক রকম নয়। মানুষের গোশ্ত এক রকম, পশুর এক রকম, পাখীর এক রকম এবং মাছের এক রকম।
40. আসমানে অনেক শরীর আছে, দুনিয়াতেও অনেক শরীর আছে, কিন্তু আসমানের শরীরগুলোর উজ্জ্বলতা এক রকম এবং দুনিয়ার শরীরগুলোর উজ্জ্বলতা আর এক রকম।
41. সূর্যের উজ্জ্বলতা এক রকম, চাঁদের এক রকম এবং তারাগুলোর আর এক রকম। এমন কি, উজ্জ্বলতার দিক থেকে একটা তারা অন্য আর একটার চেয়ে আলাদা।
42. মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠাও ঠিক সেই রকম। লাশ দাফন করলে পর তা নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু সেই লাশ এমন অবস্থায় জীবিত করে তোলা হবে যা আর কখনও নষ্ট হবে না।
43. তা অসম্মানের সংগে মাটিতে দেওয়া হয়, কিন্তু সম্মানের সংগে উঠানো হবে; দুর্বল অবস্থায় মাটিতে দেওয়া হয়, কিন্তু শক্তিতে উঠানো হবে;
44. সাধারণ শরীর মাটিতে দেওয়া হয়, কিন্তু অসাধারণ শরীর উঠানো হবে।যখন সাধারণ শরীর আছে তখন অসাধারণ শরীরও আছে।
45. কিতাবে এইভাবে লেখা আছে, “প্রথম মানুষ আদম জীবন্ত প্রাণী হলেন।” আর শেষ আদম জীবনদানকারী রূহ্ হলেন।
46. কিন্তু যা অসাধারণ তা প্রথম নয়, বরং যা সাধারণ তা-ই প্রথম, তার পরে অসাধারণ। প্রথম মানুষ মাটি থেকে এসেছিলেন্ত তিনি মাটিরই তৈরী;
47. কিন্তু দ্বিতীয় মানুষ বেহেশত থেকে এসেছিলেন।
48. দুনিয়ার মানুষেরা সেই মাটির তৈরী মানুষের মত, আর যারা বেহেশতে যাবে তারা সেই বেহেশতের মানুষের মত।
49. আমরা যেমন সেই মাটির মানুষের মত হয়েছি ঠিক তেমনি সেই বেহেশতের মানুষের মতও হব।
50. ভাইয়েরা, আমি যা বলছি তা এই- মানুষ তার রক্তমাংসের শরীর নিয়ে আল্লাহ্র রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না। যা নষ্ট হয়ে যাবে তা এমন কিছুর অধিকারী হতে পারে না যা নষ্ট হবে না।