23. তবে তার মধ্যে পালা রয়েছে- প্রথম ফলের মত প্রথমে মসীহ্, তারপর যারা মসীহের নিজের। মসীহের আসবার সময়ে তাদের জীবিত করা হবে।
24. এর পরে মসীহ্ যখন সমস্ত শাসন্তব্যবস্থা, অধিকার আর ক্ষমতা ধ্বংস করে পিতা আল্লাহ্র হাতে রাজ্য দিয়ে দেবেন তখনই শেষ সময় আসবে।
25. আল্লাহ্ যে পর্যন্ত না মসীহের সমস্ত শত্রুকে তাঁর পায়ের তলায় রাখেন সেই পর্যন্ত মসীহ্কে রাজত্ব করতে হবে।
26. শেষ শত্রু যে মৃত্যু, তাকেও ধ্বংস করা হবে।
27. কিতাবের কথামত, “তিনি সব কিছুই তাঁর পায়ের তলায় রেখেছেন।” সব জিনিসই অধীনে রাখা হয়েছে বললে স্পষ্টই বুঝা যায়, যিনি সব জিনিস মসীহের অধীনে রেখেছেন সেই আল্লাহ্ নিজেকে বাদ দিয়েই তা করেছেন।
28. যখন সব কিছুই মসীহের অধীনে রাখা হয়ে যাবে, তখন যিনি সব কিছু মসীহের অধীনে রেখেছিলেন সেই আল্লাহ্ যাতে একমাত্র মালিক হতে পারেন সেইজন্য পুত্রও নিজে আল্লাহ্র অধীন হবেন।
29. কিন্তু মৃতদের জন্য যারা তরিকাবন্দী নেয় তাদের কি হবে? মৃতদের যদি জীবিত করে তোলা না-ই হয় তবে কেন তারা মৃতদের জন্য তরিকাবন্দী নেয়?
30. আর কেনই বা আমরা সব সময় বিপদের মুখে পড়ছি?
31. ভাইয়েরা, আমাদের হযরত ঈসা মসীহের কাজে তোমাদের নিয়ে আমার যে গর্ব, সেই গর্বে আমি নিশ্চয় করে বলছি যে, প্রত্যেক দিনই আমি মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছি।
32. ইফিষে বুনো জানোয়ারদের সংগে আমাকে যে লড়াই করতে হয়েছিল, তা যদি কেবল জাগতিক উদ্দেশ্য নিয়েই করে থাকি তবে তাতে আমার কি লাভ হয়েছে? মৃতদের যদি না-ই জীবিত করে তোলা হয় তবে চলতি কথা মতে, “এস, আমরা খাওয়া-দাওয়া করি, কারণ কালকে আমরা মরে যাব।” তোমরা ভুল কোরো না।
33. কথায় বলে, “খারাপ সংগী ভাল লোককেও খারাপ করে দেয়।”
34. কাজেই তোমরা তোমাদের মনকে জাগিয়ে তোল এবং আর গুনাহ্ কোরো না। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্কে চেনেই না; আমি তোমাদের লজ্জা দেবার জন্য এই কথা বলছি।
35. কেউ হয়তো বলবে, “মৃতদের কেমন করে জীবিত করে তোলা হবে? কেমন শরীর নিয়েই বা তারা উঠবে?”
36. তুমি তো মুর্খ! তুমি নিজে যে বীজ লাগাও তা না মরলে তো চারা গজিয়ে ওঠে না।
37. তোমার লাগানো বীজ থেকে যে চারা হয় তা তুমি লাগাও না বরং একটা মাত্র বীজই লাগাও- সেই বীজ গমের হোক বা অন্য কোন শস্যের হোক।
38. কিন্তু আল্লাহ্ নিজের ইচ্ছামতই সেই বীজকে শরীর দিয়ে থাকেন। তিনি প্রত্যেক বীজকেই তার উপযুক্ত শরীর দান করে থাকেন।