17. যদি মসীহ্কেই জীবিত করা না হয়ে থাকে তবে তোমাদের ঈমান নিষ্ফল আর এখনও তোমরা গুনাহের মধ্যেই পড়ে রয়েছ।
18. তাহলে মসীহের সংগে যুক্ত হয়ে যারা মারা গেছে তারা তো বিনষ্ট হয়েছে।
19. মসীহের উপর আমাদের যে আশা তা যদি কেবল এই জীবনের জন্যই হয় তবে সমস্ত মানুষের মধ্যে আমাদেরই বেশী দুর্ভাগ্য।
20. মসীহ্কে কিন্তু সত্যিসত্যিই মৃত্যু থেকে জীবিত করে তোলা হয়েছে। তিনি প্রথম ফল, অর্থাৎ মৃত্যু থেকে যাদের জীবিত করা হবে তাদের মধ্যে তিনিই প্রথমে জীবিত হয়েছেন।
21. একজন মানুষের মধ্য দিয়ে মৃত্যু এসেছে বলে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ওঠাও একজন মানুষেরই মধ্য দিয়ে এসেছে।
22. আদমের সংগে যুক্ত আছে বলে যেমন সমস্ত মানুষই মারা যায়, তেমনি মসীহের সংগে যারা যুক্ত আছে তাদের সবাইকে জীবিত করা হবে;
23. তবে তার মধ্যে পালা রয়েছে- প্রথম ফলের মত প্রথমে মসীহ্, তারপর যারা মসীহের নিজের। মসীহের আসবার সময়ে তাদের জীবিত করা হবে।
24. এর পরে মসীহ্ যখন সমস্ত শাসন্তব্যবস্থা, অধিকার আর ক্ষমতা ধ্বংস করে পিতা আল্লাহ্র হাতে রাজ্য দিয়ে দেবেন তখনই শেষ সময় আসবে।
25. আল্লাহ্ যে পর্যন্ত না মসীহের সমস্ত শত্রুকে তাঁর পায়ের তলায় রাখেন সেই পর্যন্ত মসীহ্কে রাজত্ব করতে হবে।
26. শেষ শত্রু যে মৃত্যু, তাকেও ধ্বংস করা হবে।
27. কিতাবের কথামত, “তিনি সব কিছুই তাঁর পায়ের তলায় রেখেছেন।” সব জিনিসই অধীনে রাখা হয়েছে বললে স্পষ্টই বুঝা যায়, যিনি সব জিনিস মসীহের অধীনে রেখেছেন সেই আল্লাহ্ নিজেকে বাদ দিয়েই তা করেছেন।
28. যখন সব কিছুই মসীহের অধীনে রাখা হয়ে যাবে, তখন যিনি সব কিছু মসীহের অধীনে রেখেছিলেন সেই আল্লাহ্ যাতে একমাত্র মালিক হতে পারেন সেইজন্য পুত্রও নিজে আল্লাহ্র অধীন হবেন।
29. কিন্তু মৃতদের জন্য যারা তরিকাবন্দী নেয় তাদের কি হবে? মৃতদের যদি জীবিত করে তোলা না-ই হয় তবে কেন তারা মৃতদের জন্য তরিকাবন্দী নেয়?