8. যুদ্ধের শিংগা যদি পরিষ্কার ভাবে না বাজে তবে কে যুদ্ধে যাবার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে?
9. ঠিক সেইভাবে যে ভাষা লোকেরা বোঝে না তোমরা যদি সেই ভাষায় কথা বল তবে তোমরা যা বল তা কেমন করে বুঝা যাবে? কারণ তখন যে কথা তোমরা বল তা তো বাতাসের কাছেই বল।
10. এই দুনিয়াতে অনেক রকমের ভাষা আছে; সেগুলোর মধ্যে কোনটাই অর্থহীন নয়।
11. এইজন্য আমি যদি কোন ভাষার মানে না বুঝি তবে যে লোক কথা বলছে তার কাছে তো আমি অজানা বিদেশীর মত হব, আর সেও আমার কাছে তা-ই হবে।
12. তোমাদের বেলায়ও এই কথা খাটে। তোমরা যখন পাক-রূহের দেওয়া দান পাবার জন্য বিশেষভাবে আগ্রহী হচ্ছ তখন যে যে দানের দ্বারা জামাতকে গড়ে তোলা যায় সেগুলোই বেশী করে পাবার চেষ্টা কর।
13. এইজন্য অন্য কোন ভাষায় যে লোক কথা বলে সে মুনাজাত করুক যেন তার মানে সে বুঝিয়ে দিতে পারে।
14. আমি যদি অন্য কোন ভাষায় মুনাজাত করি তবে আমার রূহ্ই মুনাজাত করে কিন্তু আমার মন কোন কাজ করে না।
15. তাহলে আমার কি করা উচিত? আমি রূহ্ দিয়ে মুনাজাত করব, বুদ্ধি দিয়েও মুনাজাত করব; আমি রূহ্ দিয়ে প্রশংসা-কাওয়ালী গাইব, বুদ্ধি দিয়েও প্রশংসা-কাওয়ালী গাইব।
16. তা না হলে যদি তুমি রূহে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানাও তবে সেই ভাষা বুঝতে পারে না এমন কোন লোক যদি সেখানে উপস্থিত থাকে, তবে সে কেমন করে তোমার শুকরিয়াতে আমিন বলে সায় দেবে? সে তো জানে না তুমি কি বলছ।
17. তুমি হয়তো ঠিকভাবেই শুকরিয়া জানা"ছ, কিন্তু তাতে সেই অন্য লোকটিকে তো গড়ে তোলা হচ্ছে না।
18. আমি তোমাদের সকলের চেয়ে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে বেশী পারি বলে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানাই।
19. তবে জামাতের মধ্যে বিভিন্ন ভাষায় হাজার হাজার কথা বলবার বদলে অন্যদের শিক্ষা দেবার জন্য আমি বুদ্ধি দিয়ে বরং মাত্র পাঁচটা কথা বলব।
20. ভাইয়েরা, ছেলে মানুষের মত আর চিন্তা কোরো না। খারাপ বিষয়ে তোমাদের মন শিশুর মত সরল হোক, কিন্তু চিন্তাতে তোমরা বয়স্ক লোকের মত হও।
21. তৌরাত শরীফে মাবুদ বলেন, “অন্য ভাষার লোকদের দিয়ে ও অন্যদের মুখ দিয়ে আমি এই জাতির কাছে কথা বলব, কিন্তু তবুও তারা আমার কথা শুনবে না।”
22. তাহলে দেখা যায়, ঈমানদারদের জন্য বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা কোন চিহ্ন নয়, বরং অ-ঈমানদারদের জন্য ওটা একটা চিহ্ন; কিন্তু অ-ঈমানদারদের জন্য নবী হিসাবে কথা বলা কোন চিহ্ন নয়, বরং ঈমানদারদের জন্য ওটা একটা চিহ্ন।