12. একটি শরীরের যেমন অনেকগুলো অংশ থাকে আর সেই অংশগুলো অনেক হলেও যেমন সব মিলে একটিমাত্র শরীর হয়, মসীহ্ ও ঠিক সেই রকম।
13. আমরা ইহুদী কি অ-ইহুদী, গোলাম কি স্বাধীন, সকলেরই একই পাক-রূহের দ্বারা একই শরীরের মধ্যে তরিকাবন্দী হয়েছে। আমরা সকলেই সেই একই পাক-রূহ্কে পেয়েছি।
14. শরীর কেবল একটিমাত্র অংশ দিয়ে গড়া নয়, তা অনেক অংশ দিয়েই গড়া।
15. পা যদি বলে, “আমি হাত নই, তাই শরীরের অংশও নই,” তাহলে সেটা যে শরীরের অংশ নয় এমন নয়।
16. কান যদি বলে, “আমি চোখ নই বলে শরীরের অংশও নই,” তাহলে সেটা যে শরীরের অংশ নয় এমন নয়।
17. যদি সমস্ত শরীরটাই চোখ হত তবে শুনবার শক্তি কোথায় থাকত? আর যদি সমস্ত শরীরটাই কান হত তবে শুঁকবার শক্তি কোথায় থাকত?
18. আল্লাহ্ যেমন ভাবে চেয়েছেন ঠিক তেমন ভাবেই শরীরের অংশগুলোকে তিনি এক এক করে শরীরের মধ্যে বসিয়েছেন।
19. যদি সব অংশগুলো একই রকম হত তবে শরীর কোথায় থাকত?
20. অংশ অনেক বটে কিন্তু শরীর একটিই।
21. চোখ হাতকে বলতে পারে না, “তোমাকে আমার দরকার নেই,” আবার মাথা পা দু’টিকে বলতে পারে না, “তোমাদের আমার দরকার নেই।”
22. আসলে শরীরের যে অংশগুলোকে দুর্বল বলে মনে হয় সেগুলোই বেশী দরকারী।
23. শরীরের যে অংশগুলোকে আমরা কম সম্মানের যোগ্য বলে মনে করি সেই অংশগুলোকে বেশী সম্মান দেখাই। যে অংশগুলোকে বাইরে দেখানো যায় না সেগুলোকে আমরা যত্নের সংগে ঢেকে রাখি,
24. কিন্তু যে অংশগুলো বাইরে দেখানো যায় সেগুলো আর ঢাকবার দরকার হয় না। শরীরের যে অংশগুলোর কোন সম্মান নেই আল্লাহ্ সেগুলোকে অনেক বেশী সম্মান দান করেছেন এবং সমস্ত অংশগুলোকে একসংগে যুক্ত করেছেন,
25. যেন শরীর ভাগ হয়ে না যায় বরং অংশগুলো যেন একে অন্যের জন্য সমান ভাবে চিন্তা করে। যদি একটা অংশের কষ্ট হয় তবে তার সংগে সমস্ত অংশই কষ্ট পায়।