15. কিন্তু স্ত্রীলোক যদি লম্বা চুল রাখে তবে তাতে তার গৌরব হয়? নিজেকে ঢাকবার জন্যই তো স্ত্রীলোককে লম্বা চুল দেওয়া হয়েছে।
16. যদি কেউ এই নিয়ে তর্ক করতে চায় তবে আমি এই বলব যে, অন্য কোন নিয়ম আমাদের মধ্যেও নেই বা আল্লাহ্র জামাতগুলোর মধ্যেও নেই।
17. এবার আমি যে বিষয় নিয়ে হুকুম দিতে যাচ্ছি সেই বিষয়ে আমি তোমাদের প্রশংসা করি না, কারণ তোমরা যেভাবে জামাতে মিলিত হও তাতে তোমাদের উপকার না হয়ে অপকারই হয়।
18. প্রথমতঃ আমি শুনতে পাচ্ছি, তোমরা যখন জামাত হিসাবে একসংগে মিলিত হও তখন তোমাদের মধ্যে দলাদলি থাকে, আর আমি তা কতকটা বিশ্বাসও করি।
19. অবশ্য তোমাদের মধ্যে মতের অমিল হবেই যেন আল্লাহ্র চোখে তোমাদের মধ্যে যোগ্য লোক কে, তা ধরা পড়ে।
20. জামাত হিসাবে এক জায়গায় মিলিত হয়ে যা খাও তা আসলে মসীহের মেজবানী নয়,
21. কারণ তোমরা কেউ কারও জন্য অপেক্ষা না করেই খেয়ে ফেল। আর তাতে একজনের খিদে থেকে যায়, আর অন্যজন মাতাল হয়।
22. খাওয়া-দাওয়া করবার জন্য তোমাদের কি ঘর-বাড়ী নেই? নাকি তোমরা আল্লাহ্র জামাতকে তুচ্ছ করছ এবং যাদের কিছু নেই তাদের লজ্জা দিচ্ছ? আমি তোমাদের কি বলব? আমি কি এতে তোমাদের প্রশংসা করব? নিশ্চয়ই না।
23. আমি তোমাদের যে শিক্ষা দিয়েছি তা আমি প্রভুর কাছ থেকে পেয়েছি। যে রাতে হযরত ঈসাকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল,
24. সেই রাতে তিনি রুটি নিয়ে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানিয়েছিলেন এবং তা টুকরা টুকরা করে বলেছিলেন, “এটা আমার শরীর যা তোমাদেরই জন্য দেওয়া হবে; আমাকে মনে করবার জন্য এই রকম কোরো।”
25. খাওয়া হলে পর সেইভাবে তিনি পেয়ালা নিয়ে বলেছিলেন, “আমার রক্তের দ্বারা আল্লাহ্র যে নতুন ব্যবস্থা বহাল করা হবে সেই ব্যবস্থার চিহ্ন হল এই পেয়ালা। তোমরা যতবার এর থেকে খাবে আমাকে মনে করবার জন্য এই রকম কোরো।”
26. সেইজন্য তিনি না আসা পর্যন্ত যতবার তোমরা এই রুটি খাবে আর এই পেয়ালা থেকে খাবে ততবারই প্রভুর মৃত্যুর কথা প্রচার করবে।
27. সেইজন্য যে কেউ অযোগ্য ভাবে এই রুটি আর প্রভুর পেয়ালা থেকে খায় সে প্রভুর শরীরের আর রক্তের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছে বলে দোষী হয়।
28. সেই রুটি আর সেই পেয়ালা থেকে খাবার আগে মানুষ নিজেকে পরীক্ষা করে দেখুক,
29. কারণ খাবার সময় সে যদি প্রভুর শরীরের বিষয়ে না বোঝে তবে সেই খাওয়াতে সে তার নিজের উপরেই শাস্তি ডেকে আনে।
30. সেইজন্যই তোমাদের মধ্যে অনেকে দুর্বল আর অসুস্থ হয়েছে, আবার অনেকে মারাও গেছে।
31. যদি আমরা নিজেদের বিচার করে দেখি তবে আমরা প্রভুর বিচারের হাত থেকে রেহাই পাই।
32. কিন্তু আমাদের বিচার যখন প্রভু করেন তখন তিনি আমাদের শাসন করেন, যাতে দুনিয়ার সকলের সংগে আমাদের দোষী বলে স্থির করা না হয়।
33. সেইজন্য আমার ভাইয়েরা, যখন খাওয়ার জন্য তোমরা জামাত হিসাবে এক জায়গায় মিলিত হও তখন একজন আর একজনের জন্য অপেক্ষা কোরো।