21. আল্লাহ্ তাঁর নিজের জ্ঞানে স্থির করেছেন বলেই দুনিয়া তার নিজের জ্ঞান দিয়ে আল্লাহ্কে জানতে পারে নি। এইজন্য সুসংবাদের মূর্খতা দিয়ে ঈমানদারদের নাজাত করা আল্লাহ্ ভাল মনে করলেন।
22. ইহুদীরা চিহ্ন হিসাবে অলৌকিক কাজ দেখতে চায়, গ্রীকেরা জ্ঞানের তালাশ করে,
23. কিন্তু আমরা ক্রুশের উপরে হত্যা করা মসীহের কথা তবলিগ করি। সেই কথা ইহুদীদের কাছে একটা বাধা আর অ-ইহুদীদের কাছে মূর্খতা,
24. কিন্তু ইহুদী হোক আর গ্রীকই হোক, আল্লাহ্ যাদের ডেকেছেন তাদের কাছে সেই মসীহ্ই আল্লাহ্র শক্তি আর আল্লাহ্র জ্ঞান।
25. আল্লাহ্র মধ্যে যা মূর্খতা বলে মনে হয় তা মানুষের জ্ঞানের চেয়ে অনেক বেশী জ্ঞানপূর্ণ, আর যা দুর্বলতা বলে মনে হয় তা মানুষের শক্তির চেয়ে অনেক বেশী শক্তিপূর্ণ।
26. ভাইয়েরা, তোমাদের যখন ডাকা হয়েছিল তখন তোমরা কি রকমের লোক ছিলে সেই কথা ভেবে দেখ। মানুষের বিচারে তোমাদের মধ্যে অনেকেই যে জ্ঞানী বা ক্ষমতাশালী বা উঁচু বংশের তা নয়।
27. কিন্তু দুনিয়া যা মূর্খতা বলে মনে করে আল্লাহ্ তা-ই বেছে নিয়েছেন যেন জ্ঞানীরা লজ্জা পায়। দুনিয়া যা দুর্বল বলে মনে করে আল্লাহ্ তা-ই বেছে নিয়েছেন যেন যা শক্তিশালী তা শক্তিহীন হয়।
28. দুনিয়া যা নীচ ও তুচ্ছ বলে মনে করে, এমন কি, দুনিয়ার চোখে যা কিছুই নয় আল্লাহ্ তা-ই বেছে নিয়েছেন যেন দুনিয়ার চোখে যা মূল্যবান তা মূল্যহীন হতে পারে।
29. তিনি ঐ সব বেছে নিয়েছেন যেন তাঁর সামনে কোন মানুষ গর্ব করতে না পারে।
30. মসীহ্ ঈসার সংগে তোমরা যে যুক্ত আছ তা আল্লাহ্ থেকেই হয়েছে। ঈসা মসীহ্ই আমাদের কাছে আল্লাহ্র দেওয়া জ্ঞান; তিনিই আমাদের ধার্মিকতা, পবিত্রতা ও মুক্তি।
31. এইজন্য পাক-কিতাবের কথামত, “যে গর্ব করে সে মাবুদকে নিয়েই গর্ব করুক।”