6. আমরা আল্লাহ্র; যে আল্লাহ্কে জানে সে আমাদের কথা শোনে, কিন্তু যে আল্লাহ্র নয় সে আমাদের কথা শোনে না। এর দ্বারাই আমরা সত্যের রূহ্ ও ছলনার রূহ্কে চিনতে পারি।
7. প্রিয় সন্তানেরা, আমরা যেন একে অন্যকে মহব্বত করি, কারণ মহব্বত আল্লাহ্র কাছ থেকেই আসে। যাদের অন্তরে মহব্বত আছে, আল্লাহ্ থেকেই তাদের জন্ম হয়েছে এবং তারা আল্লাহ্কে জানে।
8. যাদের অন্তরে মহব্বত নেই তারা আল্লাহ্কে জানে না, কারণ আল্লাহ্ নিজেই মহব্বত।
9. আমাদের প্রতি আল্লাহ্র মহব্বত এইভাবে প্রকাশিত হয়েছে- তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে এই দুনিয়াতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন যেন আমরা তাঁর মধ্য দিয়ে জীবন পাই।
10. আমরা যে আল্লাহ্কে মহব্বত করেছিলাম তা নয়, কিন্তু তিনি আমাদের মহব্বত করে তাঁর পুত্রকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যেন পুত্র তাঁর নিজের জীবন্তকোরবানীর দ্বারা আমাদের গুনাহ্ দূর করে আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করেন। এটাই হল মহব্বত।
11. প্রিয় সন্তানেরা, আল্লাহ্ যখন এইভাবে আমাদের মহব্বত করেছেন তখন আমাদেরও একে অন্যকে মহব্বত করা উচিত।
12. কেউ কখনও আল্লাহ্কে দেখে নি। যদি আমরা একে অন্যকে মহব্বত করি তাহলে বুঝা যাবে যে, আল্লাহ্ আমাদের অন্তরে আছেন এবং তাঁর মহব্বত আমাদের অন্তরে পুরোপুরি ভাবে কাজ করছে।
13. তাঁর রূহ্ তিনি আমাদের দান করেছেন, আর এতেই আমরা জানতে পারি যে, আমরা তাঁর মধ্যে আছি আর তিনিও আমাদের অন্তরে আছেন।
14. আমরা দেখেছি ও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, পিতা পুত্রকে মানুষের নাজাতদাতা হিসাবে পাঠিয়েছিলেন।
15. যে কেউ স্বীকার করে ঈসা ইব্নুল্লাহ্, আল্লাহ্ তার মধ্যে থাকেন এবং সেও আল্লাহ্র মধ্যে থাকে।
16. আমরা জানি আল্লাহ্ আমাদের মহব্বত করেন, আর তাঁর মহব্বতের উপর আমাদের বিশ্বাস আছে।আল্লাহ্ নিজেই মহব্বত। মহব্বতের মধ্যে যে থাকে সে আল্লাহ্র মধ্যেই থাকে এবং আল্লাহ্ তার মধ্যে থাকেন।