9. আল্লাহ্ থেকে যার জন্ম হয়েছে সে গুনাহে পড়ে থাকে না, কারণ আল্লাহ্র স্বভাব তার মধ্যে থাকে। আল্লাহ্ থেকে জন্ম হয়েছে বলে সে গুনাহে পড়ে থাকতে পারে না।
10. যারা ন্যায় কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখে না এবং ভাইকে মহব্বত করে না, তারা আল্লাহ্র নয়। এতেই প্রকাশ পায়, কারা আল্লাহ্র সন্তান আর কারাই বা ইবলিসের সন্তান।
11. যে কথা তোমরা প্রথম থেকে শুনে আসছ তা এই- আমাদের একে অন্যকে মহব্বত করা উচিত।
12. সেইজন্য আমি বলছি, আমরা যেন কাবিলের মত না হই। কাবিল শয়তানের লোক ছিল এবং তার ভাইকে সে খুন করেছিল। কেন সে তাকে খুন করেছিল? কারণ সে খারাপ কাজ করত, আর তার ভাই ন্যায় কাজ করত।
13. ভাইয়েরা, দুনিয়ার লোকেরা যদি তোমাদের ঘৃণা করে তাতে আশ্চর্য হয়ো না।
14. আমরা ভাইদের মহব্বত করি বলেই বুঝতে পারছি, আমরা মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে এসেছি। যারা মহব্বত করে না তারা মৃত্যুর মধ্যে থাকে।
15. ভাইকে যে ঘৃণা করে সে খুনী। কোন খুনীর মধ্যে যে অনন্ত জীবন থাকে না, তা তোমাদের অজানা নেই।
16. মসীহ্ আমাদের জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন, তাই মহব্বত কি তা আমরা জানতে পেরেছি। তাহলে ভাইদের জন্য নিজের প্রাণ দেওয়া আমাদেরও উচিত।
17. এই দুনিয়াতে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকবার মত অবস্থা যার আছে, সে তার ভাইদের অভাব দেখেও যদি চোখ বন্ধ করে রাখে তবে কেমন করে তার অন্তরে আল্লাহ্র প্রতি মহব্বত থাকতে পারে?
18. সন্তানেরা, আমরা যেন শুধু মুখের মহব্বত না দেখিয়ে কাজের মধ্য দিয়ে সত্যিকারের মহব্বত দেখাই।
21. প্রিয় সন্তানেরা, আমাদের অন্তর যদি আমাদের দোষী না করে তবে আল্লাহ্র সামনে আমাদের সাহস থাকবে।
22. তার ফলে আমরা যা কিছু চাইব তা তাঁর কাছ থেকে পাব, কারণ তিনি যে সব হুকুম দিয়েছেন সেগুলো আমরা পালন করি এবং তিনি যে সব কাজে সন্তুষ্ট হন আমরা তা-ই করি।
23. তাঁর হুকুম এই- আমরা যেন তাঁর পুত্র ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনি এবং একে অন্যকে মহব্বত করি। এই হুকুমই তিনি আমাদের দিয়েছেন।