13. পিতারা, সেই প্রথম থেকেই যিনি আছেন তোমরা তাঁকে জেনেছ বলেই তোমাদের কাছে লিখছি। যুবকেরা, ইবলিসের উপর তোমরা জয়লাভ করেছ বলেই তোমাদের কাছে লিখছি। ছেলেমেয়েরা, আমি তোমাদের কাছে লিখলাম, কারণ তোমরা পিতাকে জান।
14. পিতারা, আমি তোমাদের কাছে লিখলাম, কারণ সেই প্রথম থেকেই যিনি আছেন তোমরা তাঁকে জেনেছ। যুবকেরা, আমি তোমাদের কাছে লিখলাম, কারণ তোমরা বলবান এবং আল্লাহ্র কালাম তোমাদের অন্তরে রয়েছে, আর তোমরা ইবলিসের উপর জয়লাভ করেছ।
15. তোমরা দুনিয়া এবং দুনিয়ার কোন কিছু ভালবেসো না। যদি কেউ দুনিয়াকে ভালবাসে তবে সে পিতাকে ভালবাসে না,
16. কারণ দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে- শরীরের কামনা, চোখের লোভ এবং সাংসারিক বিষয়ে অহংকার- এর কোনটাই পিতার কাছ থেকে আসে না, দুনিয়া থেকেই আসে।
17. দুনিয়া ও দুনিয়ার কামনা-বাসনা শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আল্লাহ্র ইচ্ছা যে পালন করে সে চিরকাল থাকবে।
18. সন্তানেরা, এ-ই শেষ সময়। তোমরা তো শুনেছ যে, দজ্জাল আসছে, কিন্তু তাঁর আরও অনেক দজ্জাল এরই মধ্যে এসে গেছে। তাই আমরা বুঝতে পারছি যে, এ-ই শেষ সময়।
19. এই দজ্জালেরা আমাদের মধ্য থেকে বের হয়ে গেছে। তারা কিন্তু আমাদের লোক ছিল না। যদি তারা আমাদেরই হত তবে আমাদের সংগেই থাকত, কিন্তু তারা বের হয়ে গেছে বলে বুঝা যাচ্ছে, তারা কেউই আমাদের নয়।
20. তোমরা কিন্তু সেই পবিত্রজনের কাছ থেকে অভিষেক পেয়েছ, অর্থাৎ পাক-রূহ্কে পেয়েছ এবং তোমরা সকলে সত্যকে জানতে পেরেছ।
21. সত্যকে জান না বলে যে আমি তোমাদের কাছে লিখলাম তা নয়, কিন্তু তোমরা সত্যকে জান এবং এ-ও জান যে, সত্য থেকে মিথ্যা আসে না; আর সেইজন্যই আমি তোমাদের কাছে লিখলাম।