1. আমার প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা যাতে গুনাহ্ না কর সেইজন্যই আমি তোমাদের কাছে এই সব কথা লিখছি। তবে যদি কেউ গুনাহ্ করেই ফেলে তাহলে পিতার কাছে আমাদের পক্ষ হয়ে কথা বলবার জন্য একজন আছেন; তিনি ঈসা মসীহ্, যিনি নির্দোষ।
2. আমাদের গুনাহ্ দূর করবার জন্য মসীহ্ তাঁর নিজের জীবন কোরবানী করে আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করেছেন। কেবল আমাদের গুনাহ্ নয়, কিন্তু সমস্ত মানুষের গুনাহ্ দূর করবার জন্য তিনি তা করেছেন।
3. যদি আমরা তাঁর সব হুকুম পালন করে চলি তবে আমরা নিশ্চয় করে বুঝি যে, আমরা তাঁকে জানতে পেরেছি।
4. যে বলে “আমি তাঁকে জানি,” অথচ তাঁর হুকুম পালন করে না সে মিথাবাদী; তার মধ্যে সত্য নেই।
7. প্রিয় সন্তানেরা, আমি তোমাদের কাছে কোন নতুন হুকুমের কথা লিখছি না, বরং প্রথম থেকেই যে হুকুম ছিল সেই পুরানো হুকুমের কথাই লিখছি। তোমরা যে কথা আগে শুনেছ সেটাই সেই পুরানো হুকুম।
8. তবে এই যে হুকুমের কথা এখন আমি তোমাদের কাছে লিখছি তা পুরানো হলেও নতুন। এই হুকুমের সত্যতা ঈসা মসীহের মধ্যে ও তোমাদের জীবনে দেখা গেছে, কারণ অন্ধকার কেটে যাচ্ছে এবং সেই আসল নূর এখন জ্বলছে।
9. যে লোক বলে সে নূরে আছে অথচ তার ভাইকে ঘৃণা করে সে এখনও অন্ধকারেই রয়েছে।
10. যে তার ভাইকে মহব্বত করে সে নূরে থাকে এবং তার মধ্যে উচোট খাওয়ার কোন কারণ নেই।
11. কিন্তু যে তার ভাইকে ঘৃণা করে সে অন্ধকারে আছে এবং অন্ধকারেই চলাফেরা করছে। সে জানে না সে কোথায় যাচ্ছে, কারণ অন্ধকার তার চোখ অন্ধ করে দিয়েছে।
12. ছেলেমেয়েরা, মসীহের জন্য তোমাদের গুনাহ্ মাফ করা হয়েছে বলেই আমি তোমাদের কাছে লিখছি।
13. পিতারা, সেই প্রথম থেকেই যিনি আছেন তোমরা তাঁকে জেনেছ বলেই তোমাদের কাছে লিখছি। যুবকেরা, ইবলিসের উপর তোমরা জয়লাভ করেছ বলেই তোমাদের কাছে লিখছি। ছেলেমেয়েরা, আমি তোমাদের কাছে লিখলাম, কারণ তোমরা পিতাকে জান।
14. পিতারা, আমি তোমাদের কাছে লিখলাম, কারণ সেই প্রথম থেকেই যিনি আছেন তোমরা তাঁকে জেনেছ। যুবকেরা, আমি তোমাদের কাছে লিখলাম, কারণ তোমরা বলবান এবং আল্লাহ্র কালাম তোমাদের অন্তরে রয়েছে, আর তোমরা ইবলিসের উপর জয়লাভ করেছ।
15. তোমরা দুনিয়া এবং দুনিয়ার কোন কিছু ভালবেসো না। যদি কেউ দুনিয়াকে ভালবাসে তবে সে পিতাকে ভালবাসে না,
16. কারণ দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে- শরীরের কামনা, চোখের লোভ এবং সাংসারিক বিষয়ে অহংকার- এর কোনটাই পিতার কাছ থেকে আসে না, দুনিয়া থেকেই আসে।
17. দুনিয়া ও দুনিয়ার কামনা-বাসনা শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আল্লাহ্র ইচ্ছা যে পালন করে সে চিরকাল থাকবে।
18. সন্তানেরা, এ-ই শেষ সময়। তোমরা তো শুনেছ যে, দজ্জাল আসছে, কিন্তু তাঁর আরও অনেক দজ্জাল এরই মধ্যে এসে গেছে। তাই আমরা বুঝতে পারছি যে, এ-ই শেষ সময়।
19. এই দজ্জালেরা আমাদের মধ্য থেকে বের হয়ে গেছে। তারা কিন্তু আমাদের লোক ছিল না। যদি তারা আমাদেরই হত তবে আমাদের সংগেই থাকত, কিন্তু তারা বের হয়ে গেছে বলে বুঝা যাচ্ছে, তারা কেউই আমাদের নয়।