5. আমি যখন আমার কুদরত ব্যবহার করে মিসর দেশের মধ্য থেকে বনি-ইসরাইলদের বের করে আনব তখন মিসরীয়রা বুঝতে পারবে যে, আমি মাবুদ।”
6. মাবুদ মূসা ও হারুনকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন তাঁরা ঠিক তেমনই করলেন।
7. ফেরাউনের সংগে কথা বলবার সময়ে মূসার বয়স ছিল আশি আর হারুনের তিরাশি।
8. মাবুদ মূসা ও হারুনকে আরও বললেন,
9. “ফেরাউন যখন তোমাদের কোন অলৌকিক চিহ্ন-কাজ করে দেখাতে বলবে, তখন তুমি হারুনকে বোলো, ‘ফেরাউনের সামনে তোমার লাঠিটা ফেল,’ আর তাতে সেটা সাপ হয়ে যাবে।”
10. মাবুদ তাঁদের যা বলেছিলেন মূসা ও হারুন ফেরাউনের কাছে গিয়ে ঠিক তা-ই করলেন। হারুন তাঁর লাঠিটা ফেরাউন ও তাঁর কর্মচারীদের সামনে ফেললেন, আর সেটা সাপ হয়ে গেল।
11. ফেরাউন গুণিনদের এবং নেশার জিনিস কাজে লাগানো কুহকীদের, অর্থাৎ তাঁর জাদুকরদের ডেকে পাঠালেন। তারাও তাদের জাদুমন্ত্রের জোরে সেই একই কাজ করল।
12. তারা প্রত্যেকেই তাদের লাঠি মাটিতে ফেলল এবং সেগুলো সাপ হয়ে গেল, কিন্তু হারুনের লাঠিটা তাদের লাঠিগুলোকে গিলে ফেলল।
13. তবে মাবুদ তাঁদের যা বলেছিলেন তা-ই হল। ফেরাউনের মন কঠিন হয়ে রইল; তিনি মূসা ও হারুনের কথা শুনলেন না।
14. তখন মাবুদ মূসাকে বললেন, “ফেরাউনের মন শক্ত হয়ে আছে, তাই সে লোকদের যেতে দিচ্ছে না।
15. কাল সকালে ফেরাউন যখন বাইরে নদীর ঘাটে যাবে, তখন তুমি তার সংগে দেখা করবার জন্য নীল নদের ধারে দাঁড়িয়ে থেকো। যে লাঠিটা সাপ হয়ে গিয়েছিল সেটাও হাতে রেখো।