হিজরত 38:1-6 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. বৎসলেল পোড়ানো-কোরবানীর জন্য বাব্‌লা কাঠ দিয়ে পাঁচ হাত লম্বা, পাঁচ হাত চওড়া ও তিন হাত উঁচু করে একটা চারকোনা বিশিষ্ট কোরবানগাহ্‌ তৈরী করলেন।

2. কোরবানগাহ্‌টা তৈরী করবার সময় তার চার কোণার কাঠ এমনভাবে চেঁছে ফেলা হল যার ফলে চারটা শিং তৈরী হল। তাতে শিংসুদ্ধ কোরবানগাহ্‌টা একটা গোটা জিনিসই হল।

3. তারপর ব্রোঞ্জ দিয়ে গোটা কোরবানগাহ্‌টা মুড়ে দেওয়া হল। কোরবানগাহের ছাই ফেলবার পাত্র, হাতা, কোরবানীর রক্ত রাখবার পেয়ালা, গোশ্‌ত তুলবার কাঁটা এবং আগুন রাখবার পাত্র- সবই ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী করা হল।

4. কোরবানগাহের জন্য ব্রোঞ্জ দিয়ে একটা ঝাঁঝরি, অর্থাৎ একটা জালতি তৈরী করা হল। কোরবানগাহের চারপাশ থেকে বের হয়ে আসা তাকের নীচে এই ঝাঁঝরিটা রাখা হল। তাতে সেটা কোরবানগাহের নীচ থেকে উপরের দিকে মাঝামাঝি জায়গায় রইল।

5. ডাণ্ডা ঢুকাবার জন্য ব্রোঞ্জের সেই ঝাঁঝরির চার কোণায় ব্রোঞ্জেরই চারটা কড়া তৈরী করা হল।

6. বাব্‌লা কাঠ দিয়ে দু’টা ডাণ্ডা তৈরী করা হল এবং সেই ডাণ্ডা দু’টা ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়ানো হল।

14-15. সেখানকার দরজার দু’পাশের জন্য পনের হাত করে লম্বা পর্দা, তিনটা করে খুঁটি আর তিনটা করে পা-দানি তৈরী করা হল।

25-26. আদমশুমারীর সময় যে সব বনি-ইসরাইলদের গোণা হয়েছিল তাদের কাছ থেকে ধর্মীয় মাপ অনুসারে তিন হাজার সতেরো কেজি সাড়ে সাতশো গ্রাম রূপা পাওয়া গিয়েছিল। সবসুদ্ধ ছয় লক্ষ তিন হাজার পাঁচশো পঞ্চাশজন লোক গণনা করা হয়েছিল। তাদের প্রত্যেকের বয়স ছিল বিশ বছর কিংবা তারও বেশী। তারা মাথাপিছু ধর্মীয় মাপ অনুসারে পাঁচ গ্রাম করে রূপা দিয়েছিল।

হিজরত 38