3. কেউ যেন তোমার সংগে না থাকে কিংবা পাহাড়ের কোনখানে যেন কাউকে দেখা না যায়; এমন কি, পাহাড়ের সামনেও যেন কোন গরু, ছাগল বা ভেড়া ঘাস খেতে না আসে।”
4. মূসা তখন প্রথম পাথর-ফলকের মত আবার দু’টা পাথর-ফলক তৈরী করে নিলেন এবং মাবুদের হুকুম মত খুব সকালে তুর পাহাড়ে উঠলেন। সেই দু’টা পাথরের ফলক তিনি হাতে করে নিয়ে গেলেন।
5. মাবুদ মেঘের মধ্যে থেকে নেমে এসে মূসার কাছে দাঁড়ালেন এবং তাঁর “মাবুদ” নাম ঘোষণা করলেন।
6. তিনি মূসার সামনে দিয়ে এই কথা ঘোষণা করতে করতে গেলেন, “মাবুদ, মাবুদ, তিনি মমতায় পূর্ণ দয়াময় আল্লাহ্। তিনি সহজে রাগ করেন না। তাঁর অটল মহব্বত ও বিশ্বস্ততার সীমা নেই।
7. তাঁর অটল মহব্বত হাজার হাজার পুরুষ পর্যন্ত থাকে। তিনি অন্যায়, বিদ্রোহ ও গুনাহ্ মাফ করেন, কিন্তু দোষীকে শাস্তি দিয়ে থাকেন। তিনি পিতার অন্যায়ের শাস্তি তার বংশের তিন্তচার পুরুষ পর্যন্ত দিয়ে থাকেন।”
10. এর জবাবে মাবুদ বললেন, “আমি এক ব্যবস্থা স্থাপন করছি। তোমার সমস্ত লোকের সামনে আমি এমন সব কুদরতি কাজ করব যা এর আগে দুনিয়ার কোন জাতির সামনে করা হয় নি। যে লোকদের মধ্যে তুমি বাস করছ তারা দেখতে পাবে যে, আমি মাবুদ তোমাদের জন্য যে কাজ করতে যাচ্ছি তা মানুষের মনে কত ভয় জাগায়।
11. আজ আমি তোমাদের যে হুকুম দেব তা তোমরা পালন করবে। আমোরীয়, কেনানীয়, হিট্টীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবুষীয়দের আমি তোমাদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেব।
12. সাবধান! যে দেশে তোমরা যাচ্ছ সেই দেশের লোকদের সংগে তোমরা কোন চুক্তি করবে না; তা করলে তারা তোমাদের মধ্যে একটা ফাঁদ হয়ে থাকবে।
13. তোমরা তাদের বেদীগুলো ভেংগে ফেলবে, তাদের পূজার পাথরগুলো টুকরা টুকরা করে ফেলবে আর তাদের পূজার আশেরা-খুঁটিগুলো কেটে ফেলবে।
14. তোমরা কোন দেবতার পূজা করবে না, কারণ মাবুদের নাম হল পাওনা এবাদত পাবার আগ্রহী আল্লাহ্; তিনি তাঁর পাওনা এবাদত চান।
15. “যারা সেই দেশে বাস করে তাদের সংগে কোন চুক্তি করবে না, কারণ তারা যখন অসতীর মনোভাব নিয়ে তাদের দেব-দেবীর পূজায় নিজেদের তুলে দেবে আর তাদের উদ্দেশে পশু-বলি দেবে তখন তারা তোমাদের দাওয়াত করবে আর তোমরা তাদের বলি-দেওয়া গোশ্ত খাবে।
16. এছাড়া তোমরা তাদের মেয়েদের সংগে যখন তোমাদের ছেলেদের বিয়ে দেবে তখন ঐ সব মেয়ে অসতীর মনোভাব নিয়ে তাদের দেব-দেবীর পূজায় নিজেদের তুলে দেবে এবং তোমাদের ছেলেদেরও তাতে টেনে নেবে।
17. “তোমরা ধাতু দিয়ে কোন মূর্তি তৈরী করবে না।
18. “তোমরা খামিহীন রুটির ঈদ পালন করবে। আমি তোমাদের যেমন হুকুম দিয়েছি সেইমতই তোমরা সাত দিন খামিহীন রুটি খাবে। আবীব মাসের নির্দিষ্ট সময়ে তোমরা এই ঈদ পালন করবে, কারণ ঐ মাসেই তোমরা মিসর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিলে।
19. “গর্ভের প্রত্যেকটি প্রথম পুরুষ সন্তান আমার। এমন কি, তোমাদের সমস্ত পশুপালের প্রত্যেকটি পুরুষ বাচ্চাও আমার।
20. তবে গাধার প্রথম পুরুষ বাচ্চার বদলে একটা ভেড়ার বাচ্চা দিয়ে গাধার বাচ্চাটাকে ছাড়িয়ে নেবে। সেই বাচ্চাটাকে যদি ছাড়িয়ে নেওয়া না যায় তবে তার ঘাড় ভেংগে দিতে হবে। তোমাদের প্রত্যেকটি প্রথম ছেলেকেও ছাড়িয়ে নিতে হবে।“ঈদের সময়ে কেউ যেন খালি হাতে আমার কাছে না আসে।