হিজরত 32:9-19 Kitabul Mukkadas (MBCL)

9. মাবুদ মূসাকে আরও বললেন, “এই সব লোকদের আমি জানি। এরা একটা একগুঁয়ে জাতি।

10. তুমি আমাকে বাধা দিয়ো না। তাদের বিরুদ্ধে আমার রাগ আগুনের মত জ্বলতে থাকুক। আমি তাদের ধ্বংস করে ফেলব। তারপর তোমার মধ্য দিয়ে আমি একটা মহাজাতি র সৃষ্টি করব।”

11. মূসা তখন তাঁর মাবুদ আল্লাহ্‌কে কাকুতি-মিনতি করে বললেন, “মাবুদ, তোমার শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে মহা শক্তিতে যাদের তুমি মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছ তোমার সেই বান্দাদের উপর কেন তোমার এত রাগ?

12. কেন মিসরীয়রা এই কথা বলবার সুযোগ পাবে যে, পাহাড়ী এলাকার মাঝখানে এনে তাদের হত্যা করে দুনিয়ার বুক থেকে মুছে ফেলবার খারাপ ইচ্ছা নিয়েই তুমি তাদের বের করে এনেছ? তোমার এই ভীষণ রাগ তুমি থামাও। দয়া কর, তোমার বান্দাদের উপর তুমি এই বিপদ এনো না।

13. তোমার গোলাম ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইসরাইলের কথা মনে কর। তুমি নিজের নামেই কসম খেয়ে তাঁদের বলেছিলে, তাঁদের বংশধরদের আসমানের তারার মতই অসংখ্য করে তুলবে আর তোমার ওয়াদা করা দেশের গোটাটাই চিরকালের অধিকার হিসাবে তাঁদের বংশধরদের দেবে।”

14. এই কথা শুনে মাবুদের মনে দয়া হল। তাঁর বান্দাদের উপর যে বিপদ আনবার কথা তিনি বলেছিলেন তা আর আনলেন না।

15. এর পর মূসা সাক্ষ্য-ফলক দু’টি হাতে করে পাহাড় থেকে নীচে নেমে গেলেন। ফলক দু’টার সামনে এবং পিছনে দু’দিকেই লেখা ছিল।

16. সেই দু’টা ছিল আল্লাহ্‌র নিজের হাতের কাজ, আর তার উপর খোদাই করা লেখাটিও ছিল তাঁর।

17. ইউসা লোকদের চেঁচামেচি শুনে মূসাকে বললেন, “ছাউনি থেকে যুদ্ধের আওয়াজ আসছে।”

18. জবাবে মূসা বললেন, “সেটা যুদ্ধে জয়লাভের আওয়াজও নয়, যুদ্ধে হেরে যাবার আওয়াজও নয়। আমি যা শুনতে পাচ্ছি তা গানের আওয়াজ।”

19. তারপর মূসা ছাউনির কাছাকাছি গিয়ে ঐ বাছুরটা আর লোকদের নাচানাচি দেখতে পেলেন। তা দেখে তিনি রাগে জ্বলে উঠলেন এবং হাতের পাথর-ফলক দু’টা ছুঁড়ে ফেললেন। তাতে সেই দু’টা পাহাড়ের নীচে পড়ে টুকরা টুকরা হয়ে ভেংগে গেল।

হিজরত 32