9. এই ধূপগাহের উপর অন্য কোন ধূপ জ্বালাবে না কিংবা কোন পোড়ানো-কোরবানী বা শস্য-কোরবানী বা ঢালন-কোরবানী করবে না।
10. গুনাহ্ ঢাকবার জন্য গুনাহের কোরবানীর রক্ত ধূপগাহের শিংগুলোর উপরে লাগিয়ে দিয়ে হারুন বছরে একবার করে ধূপগাহ্টি পাক-সাফ করে নেবে। এইভাবে বছরে একবার করে বংশের পর বংশ ধরে মহা-ইমামকে এই কাজ করে যেতে হবে। এটা মাবুদের উদ্দেশ্যে মহাপবিত্র ধূপগাহ্।”
11. তারপর মাবুদ মূসাকে বললেন,
12. “বনি-ইসরাইলদের লোকসংখ্যা জানবার জন্য যখন আদমশুমারী করা হবে সেই সময় প্রত্যেককেই মাবুদকে রূপা দিয়ে তার জীবন-মূল্য দিতে হবে। এতে আদমশুমারীর দরুন যে বিপদ আসবার কথা তা তাদের উপর আসবে না।
13. গুণে রাখা লোকদের দলে যাবার আগে প্রত্যেককে দশ গ্রাম ওজনের ধর্মীয় শেখেলের আধা শেখেল করে দিতে হবে। এই আধা শেখেল হবে মাবুদের।
14. যারা গুণে রাখা দলে যাবে, অর্থাৎ যাদের বয়স বিশ বছর কিংবা তার বেশী, মাবুদকে তাদের এটা দিতেই হবে।
15. জীবন-মূল্য হিসাবে মাবুদকে এটা দেবার সময় ধনীরও আধা শেখেলের বেশী দিতে হবে না, আবার গরীবেরও এর কম দেওয়া চলবে না।
16. বনি-ইসরাইলদের কাছ থেকে এই সব জীবন-মূল্যের রূপা নিয়ে মিলন-তাম্বুর কাজে ব্যবহার করতে হবে। এই সব জীবন-মূল্য যা তোমাদের জীবনের বদলে দেওয়া হবে তা মাবুদের সামনে বনি-ইসরাইলদের তুলে ধরবে।”
17. তারপর মাবুদ মূসাকে বললেন,
18. “হাত-পা ধোয়ার জন্য ব্রোঞ্জ দিয়ে একটা গামলা আর তা বসাবার জন্য ব্রোঞ্জেরই একটা আসন তৈরী করাতে হবে। মিলন-তাম্বু ও কোরবানগাহের মাঝামাঝি জায়গায় সেটা বসিয়ে তার মধ্যে পানি রাখবে।
19. ঐ পানি দিয়ে হারুন ও তাঁর ছেলেরা হাত-পা ধোবে।
22. তারপর মাবুদ মূসাকে বললেন,
23. “তুমি কতগুলো ভাল জাতের মসলা, অর্থাৎ পাঁচ কেজি গন্ধরস, আড়াই কেজি খোশবু দারচিনি, আড়াই কেজি বচ,
24. আর পাঁচ কেজি দারচিনি ফুলের কুঁড়ি নেবে। এছাড়া সাড়ে তিন লিটার জলপাইয়ের তেলও নেবে।
25. খোশবু জিনিস তৈরী করবার মত করে তুমি এই সব খোশবু মসলা একসংগে মিশিয়ে নিয়ে অভিষেকের জন্য তেল তৈরী করাবে। এটাই হবে পবিত্র অভিষেক-তেল।
26. এই অভিষেক-তেল দিয়ে তুমি মিলন-তাম্বু, সাক্ষ্য-সিন্দুক,