4. ধূপগাহের দু’পাশে নক্শার নীচে দু’টা করে সোনার কড়া লাগাতে হবে যাতে তার ভিতর দিয়ে ডাণ্ডা ঢুকিয়ে সেটা বয়ে নেওয়া যায়।
5. সেই ডাণ্ডাগুলো বাব্লা কাঠ দিয়ে তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে নিতে হবে।
6. সাক্ষ্য-সিন্দুকের কাছে, অর্থাৎ সাক্ষ্য-ফলকের উপরকার ঢাকনাটার কাছে যে পর্দা থাকবে এই ধূপগাহ্টা তার সামনে রাখবে; সেখানেই আমি তোমার সংগে দেখা করব।
7. “প্রত্যেক দিন সকালে বাতিগুলো ঠিক করে রাখবার সময় হারুন ঐ ধূপগাহের উপর খোশবু ধূপ জ্বালাবে।
8. বেলা শেষে বাতি ধরাবার সময়েও আবার সে ধূপ জ্বালাবে। এতে তোমাদের বংশের পর বংশ ধরে মাবুদের সামনে নিয়মিত ভাবে ধূপ জ্বলবে।
9. এই ধূপগাহের উপর অন্য কোন ধূপ জ্বালাবে না কিংবা কোন পোড়ানো-কোরবানী বা শস্য-কোরবানী বা ঢালন-কোরবানী করবে না।
34-35. তারপর মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি কতগুলো খোশবু মসলা, অর্থাৎ গুগ্গুলু, নখী, কুন্দুরু আর খাঁটি লোবান নেবে। এগুলো সমান সমান পরিমাণে মিশিয়ে খোশবু ধূপ তৈরী করাবে। যারা খোশবু জিনিস তৈরী করে তাদের দিয়ে কাজটা করিয়ে নেবে। এর মধ্যে লবণও দিতে হবে; এতে কোন ভেজাল থাকবে না আর তা হবে পবিত্র।
36. এর কিছুটা নিয়ে গুঁড়া করে মিলন-তাম্বুর মধ্যে সাক্ষ্য-ফলকের সামনে রাখবে। সেখানেই আমি তোমার সংগে দেখা করব। এই ধূপ তোমরা মহাপবিত্র জিনিস বলে মনে করবে।
37. কেউ যেন এই নিয়মে এই সব খোশবু জিনিস দিয়ে নিজের ব্যবহারের জন্য কোন ধূপ তৈরী না করে। এটা যে মাবুদের উদ্দেশ্যে পাক-পবিত্র তা তোমরা মনে রাখবে।
38. খোশবু জিনিস হিসাবে ব্যবহারের জন্য যদি কেউ তা তৈরী করে তবে তাকে তার জাতির মধ্য থেকে মুছে ফেলতে হবে।”