হিজরত 29:13-27 Kitabul Mukkadas (MBCL)

13. তারপর পেটের ভিতরের অংশগুলোর উপরকার চর্বি, কলিজার উপরের অংশ এবং চর্বিসুদ্ধকিড্‌নি দু’টা নিয়ে কোরবানগাহের উপর পুড়িয়ে ফেলবে।

14. ষাঁড়টার গোশ্‌ত, চামড়া এবং গোবর সুদ্ধ নাড়ীভুঁড়ি বনি-ইসরাইলদের ছাউনি থেকে দূরে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলবে। এটা একটা গুনাহের জন্য কোরবানী।

15. “তারপর সেই ভেড়া দু’টার একটা নিয়ে আসবে। হারুন ও তার ছেলেরা সেই ভেড়াটার মাথার উপর তাদের হাত রাখবে।

16. এর পর ভেড়াটা জবাই করে তার রক্ত নিয়ে কোরবানগাহের চারপাশের গায়ে ছিটিয়ে দেবে।

17. পরে ভেড়াটা কেটে টুকরা টুকরা করে তার পা এবং পেটের ভিতরকার অংশগুলো ধুয়ে নিয়ে মাথা ও অন্যান্য টুকরাগুলোর সংগে রাখবে।

18. তারপর তার সবটাই কোরবানগাহের উপর পুড়িয়ে ফেলবে। এটা মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী, অর্থাৎ মাবুদের উদ্দেশে আগুনে করা কোরবানী, যার গন্ধে তিনি খুশী হন।

19. “তারপর অন্য ভেড়াটাও নেবে এবং হারুন ও তার ছেলেরা তার মাথার উপরে তাদের হাত রাখবে।

20. পরে ভেড়াটা জবাই করে তার কিছু রক্ত নিয়ে হারুন ও তার ছেলেদের ডান কানের লতিতে এবং ডান হাত ও পায়ের বুড়ো আংগুলে লাগিয়ে দেবে। এছাড়া আরও কিছু রক্ত নিয়ে কোরবানগাহের চারপাশের গায়ে ছিটিয়ে দেবে।

21. তারপর কিছু অভিষেকের তেল এবং কোরবানগাহ্‌ থেকে কিছু রক্ত নিয়ে হারুন ও তার ছেলেদের শরীরে এবং পোশাকের উপর ছিটিয়ে দেবে। এতে পোশাকসুদ্ধ তাকে ও তার ছেলেদের পাক-পবিত্র করা হবে।

22. “তারপর তুমি সেই ভেড়াটার চর্বি, চর্বিভরা লেজ, পেটের ভিতরের অংশগুলোর উপরকার চর্বি, কলিজার উপরের অংশ, চর্বি-জড়ানো কিড্‌নি দু’টা এবং ডান দিকের রানটা নেবে। এটা হল পদে বহাল করবার কাজের ভেড়া।

23. তারপর মাবুদের সামনে রাখা খামিহীন রুটির টুকরি থেকে একটা রুটি, একটা তেলে ময়ান দেওয়া পিঠা ও চাপাটি নেবে।

24. এগুলো সব হারুন ও তার ছেলেদের হাতে দিয়ে দোলন-কোরবানী হিসাবে মাবুদের সামনে তা দোলাবে।

25. তারপর সেগুলো তাদের হাত থেকে নিয়ে কোরবানগাহের উপর পোড়ানো-কোরবানীর সংগে পুড়িয়ে ফেলবে। এটা মাবুদের উদ্দেশে আগুনে করা কোরবানী যার গন্ধে তিনি খুশী হন।

26. হারুনের ইমাম-পদে বহাল করবার কাজের এই ভেড়াটার বুকের অংশ নিয়ে দোলন-কোরবানী হিসাবে মাবুদের সামনে তা দোলাবে। এটা তোমার ভাগে পড়বে।

27. “হারুন ও তার ছেলেদের ইমাম-পদে বহাল করবার ভেড়াটা থেকে নেওয়া দোলন-কোরবানীর গোশ্‌ত এবং কোরবানী দেওয়া রানের গোশ্‌ত পাক-পবিত্র করবে।

হিজরত 29