হিজরত 18:1-16 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দা বনি-ইসরাইলদের ও মূসার জন্য যা করেছিলেন তা সবই মূসার শ্বশুর মাদিয়ানীয় ইমাম শোয়াইবের কানে গিয়েছিল। মাবুদ কেমন করে মিসর দেশ থেকে বনি-ইসরাইলদের বের করে এনেছিলেন তিনি তা-ও শুনতে পেয়েছিলেন।

4. তিনি অন্য ছেলেটার নাম দিয়েছিলেন ইলীয়েষর (যার মানে “আল্লাহ্‌ আমার সহায়”); কারণ তিনি বলেছিলেন, “আমার পিতার আল্লাহ্‌ আমাকে সাহায্য করেছেন। তিনিই যুদ্ধে ফেরাউনের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করেছেন।”

5. আল্লাহ্‌র পাহাড়ের কাছে যে মরুভূমিতে মূসা তাম্বু ফেলেছিলেন সেখানে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেদের নিয়ে তাঁর শ্বশুর শোয়াইব উপস্থিত হলেন।

6. এর আগেই তিনি মূসাকে বলে পাঠিয়েছিলেন, “আমি তোমার শ্বশুর শোয়াইব। তোমার স্ত্রী ও ছেলে দু’টি নিয়ে আমি তোমার কাছে আসছি।”

7. খবর পেয়ে মূসা তাঁর শ্বশুরের সংগে দেখা করবার জন্য বের হয়ে আসলেন। তিনি মাটিতে উবুড় হয়ে তাঁকে সালাম জানালেন ও চুম্বন করলেন। তাঁরা একে অন্যের খবরাখবর জিজ্ঞাসা করে তাম্বুর ভিতরে গেলেন।

8. মাবুদ বনি-ইসরাইলদের পক্ষ হয়ে ফেরাউন ও মিসরীয়দের প্রতি যা করেছেন তা সবই মূসা তাঁর শ্বশুরকে জানালেন। যাত্রাপথে তাঁদের কষ্টের কথা এবং কিভাবে আল্লাহ্‌ তাঁদের উদ্ধার করেছেন সেই সব কথাও তিনি তাঁকে জানালেন।

11. তাই এখন আমি বুঝতে পারছি যে, সব দেবতার চেয়ে মাবুদই মহান, কারণ দেবতারা যে সব বিষয়ে বনি-ইসরাইলদের বিরুদ্ধে গর্ব করত সেই সব বিষয়ে মাবুদই মহান।”

12. এর পর শোয়াইব আল্লাহ্‌র উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী ও অন্যান্য কোরবানীর জন্য পশু নিয়ে আসলেন। পরে হারুন ও বনি-ইসরাইলদের সব বৃদ্ধ নেতারা আল্লাহ্‌র সামনে মূসার শ্বশুরের সংগে খেতে বসলেন।

13. পরের দিন মূসা লোকদের বিচার করবার জন্য বসলেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লোকেরা মূসার সামনে দাঁড়িয়ে রইল।

14. লোকদের নিয়ে মূসাকে এই সব করতে দেখে তাঁর শ্বশুর বললেন, “তুমি লোকদের নিয়ে এ কি করছ? তুমি কেন একা বিচার করতে বসেছ, আর সব লোক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তোমার চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে?”

15. এর জবাবে মূসা তাঁর শ্বশুরকে বললেন, “আল্লাহ্‌র ইচ্ছা জানবার জন্যই লোকেরা আমার কাছে আসে।

16. কোন ঝগড়া-বিবাদ দেখা দিলে তারা আমার কাছে আসে আর আমি দু’পক্ষেরই বিচার করি, আর আল্লাহ্‌র নিয়ম ও নির্দেশ তাদের বুঝিয়ে দিই।”

হিজরত 18