হিজরত 12:15-29 Kitabul Mukkadas (MBCL)

15. “তোমরা সাত দিন পর্যন্ত খামিহীন রুটি খাবে। তোমাদের বাড়ীতে যত খামি আছে প্রথম দিনেই তোমরা তা সব সরিয়ে ফেলবে। এই সাত দিনের মধ্যে যদি কেউ খামি দেওয়া রুটি খায় তবে তাকে বনি-ইসরাইলদের মধ্য থেকে মুছে ফেলা হবে।

16. প্রথম এবং সপ্তম দিনে তোমরা পবিত্র মিলন-মাহ্‌ফিল করবে। এই দু’দিন তোমরা নিজেদের খাবার তৈরী করা ছাড়া আর কোন কাজ করবে না।

17. খামিহীন রুটির এই যে ঈদ তা একটা চিরকালের নিয়ম হিসাবে তোমরা বংশের পর বংশ ধরে পালন করবে, কারণ এই দিনেই সৈন্যদলের মত করে আমি মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে আনব।

18. তোমরা প্রথম মাসের চৌদ্দ তারিখের সন্ধ্যাবেলা থেকে শুরু করে সেই মাসের একুশ তারিখের সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত খামিহীন রুটি খাবে।

19. এই সাত দিন তোমাদের বাড়ীতে যেন কোন খামি না থাকে। যদি কেউ খামি-দেওয়া কোন কিছু খায়, তবে তাকে ইসরাইলীয় সমাজ থেকে মুছে ফেলা হবে, সে তোমাদের জাতির লোকই হোক বা অন্য জাতির লোকই হোক।

20. তোমরা যেখানেই থাক না কেন এই সাত দিন তোমরা খামি দেওয়া কোন কিছু খাবে না; রুটিও খাবে খামিহীন।”

21. তখন মূসা বনি-ইসরাইলদের বৃদ্ধ নেতাদের ডেকে বললেন, “তোমাদের পরিবারের জন্য ভেড়ার বাচ্চা বেছে নিয়ে উদ্ধার-ঈদের উদ্দেশ্যে তা জবাই করবে।

22. তারপর এসোব ঝোপ থেকে এক গোছা ডাল নিয়ে পেয়ালাতে রাখা রক্তে ডুবিয়ে সেই রক্ত দরজার চৌকাঠের দু’পাশে ও উপরের কাঠে লাগিয়ে দেবে; আর সকাল না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যাবে না।

23. মিসরীয়দের আঘাত করবার সময় মাবুদ যখন মিসর দেশের ভিতর দিয়ে যাবেন তখন তোমাদের দরজার চৌকাঠে রক্ত দেখে তিনি তোমাদের দরজা বাদ দিয়ে এগিয়ে যাবেন। যিনি এই ধ্বংসের কাজ করবেন তাঁকে তিনি তোমাদের বাড়ীতে ঢুকে তোমাদের আঘাত করতে দেবেন না।

24. “এই ঈদ সব সময় তোমরা ও তোমাদের বংশধরেরা একটা নিয়ম হিসাবে পালন করবে।

25. মাবুদ যে দেশ তোমাদের দেবার ওয়াদা করেছেন সেই দেশে গিয়েও তোমরা এই ঈদ পালন করবে।

26. তোমাদের ছেলেমেয়েরা যখন তোমাদের জিজ্ঞাসা করবে, ‘এই ঈদের মানে কি?’

27. তখন তোমরা বলবে, ‘এটা হল মাবুদের উদ্দেশে উদ্ধার-ঈদের কোরবানী, কারণ মিসর দেশে থাকবার সময় তিনি বনি-ইসরাইলদের বাড়ীগুলো বাদ দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি মিসরীয়দের মেরে ফেলেছিলেন কিন্তু আমাদের রক্ষা করেছিলেন।’ ” এর পর বনি-ইসরাইলরা মাবুদকে সেজদা করল।

28. মূসা ও হারুনকে মাবুদ যে হুকুম দিয়েছিলেন বনি-ইসরাইলরা ফিরে গিয়ে সেইমত কাজ করল।

29. তারপর চৌদ্দ তারিখের মাঝরাতে মাবুদ মিসর দেশের প্রত্যেকটি প্রথম ছেলেকে মেরে ফেললেন। এতে রাজ-সিংহাসনের অধিকারী ফেরাউনের প্রথম ছেলে থেকে জেলখানার কয়েদীর প্রথম ছেলে পর্যন্ত, এমন কি, পশুদেরও প্রথম পুরুষ বাচ্চা মারা পড়ল।

হিজরত 12