2. তখন জবাবে মাবুদ বললেন, “এই দর্শনের কথা লেখ এবং পাথরের ফলকের উপরে স্পষ্টভাবে খোদাই কর যাতে তা সহজে পড়া যায়,
3. কারণ এই দর্শনের কথা পূর্ণ হবার সময় এখনও বাকী আছে, কিন্তু তা তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসছে এবং সেই দর্শন মিথ্যা প্রমাণিত হবে না। দেরি হলেও তার জন্য অপেক্ষা কর; তা ঠিক সময়ে নিশ্চয়ই পূর্ণ হবে। তুমি এই কথা লেখ:
4. “অহংকারী ব্যাবিলন সৎ নয়, কিন্তু যাকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয় সে তার বিশ্বস্ততার দরুন বেঁচে থাকবে।
5. গর্বে ভরা ব্যাবিলনের সংগে আংগুর-রস বেঈমানী করছে, তাকে অস্থির করে তুলছে। সে কবরের মত লোভী এবং মৃত্যুর মত কখনও তৃপ্ত হয় না; সে সমস্ত জাতিকে নিজের কাছে জমায়েত করে এবং তাদের বন্দী করে নিয়ে যায়।
6. “তারা সবাই তাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করবে আর বলবে, ‘ঘৃণ্য সে, যে অন্যদের জিনিস নিজের জন্য জমা করে এবং জামিনের জিনিস দিয়ে ধনী হয়। আর কত দিন এই রকম চলবে?’
7. তোমার পাওনাদারেরা কি একদিন হঠাৎ উঠবে না? তারা জেগে উঠে কি তোমাকে কাঁপিয়ে তুলবে না? তখন তুমি হবে তাদের কাছে লুটের মালের মত।
8. তুমি অনেক জাতির ধন-সম্পদ লুট করেছ বলে সেই সব জাতির বেঁচে থাকা লোকেরা তোমার ধন-সম্পত্তি লুট করবে। এর কারণ হল, তুমি মানুষের রক্তপাত করেছ; তুমি নানা দেশ, শহর ও সেগুলোর মধ্যেকার সমস্ত লোকদের জুলুম করেছ।
9. “জাতিরা বলবে, ‘ঘৃণ্য সে, যে অন্যায় লাভের দ্বারা তার বাসস্থান গড়ে তোলে যাতে সে নিরাপদে থাকতে পারে এবং বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায়।’
10. তুমি অনেক জাতিকে ধ্বংস করে নিজের পরিবারের উপর লজ্জা নিয়ে এসেছ এবং বাঁচবার অধিকার হারিয়ে ফেলেছ।
11. তোমার ঘরের দেয়ালের পাথরগুলো তোমার বিরুদ্ধে নালিশ জানাবে এবং ঘরের বীমগুলো সেই কথায় সায় দেবে।
12. “জাতিরা বলবে, ‘ঘৃণ্য সে, যে রক্তপাতের দ্বারা শহর গড়ে এবং অন্যায় কাজের দ্বারা গ্রাম স্থাপন করে।’
13. আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন স্থির করেছেন যে, জাতিদের পরিশ্রমের ফল আগুনে পুড়ে যাবে আর তারা মিথ্যাই নিজেদের ক্লান্ত করবে।
14. সমুদ্র যেমন পানিতে ভরা থাকে তেমনি দুনিয়া মাবুদের মহিমার জ্ঞানে পরিপূর্ণ হবে।