6. সেই সময় তাদের মধ্যে কয়েকজন লোক একটা মৃতদেহের ছোঁয়া লাগবার দরুন নাপাক অবস্থায় পড়ে সেই দিন উদ্ধার-ঈদ পালন করতে পারল না। তারা সেই দিনই মূসা ও হারুনের কাছে গেল।
7. তারা মূসাকে বলল, “একটা মৃতদেহের ছোঁয়া লাগবার দরুন আমরা নাপাক অবস্থায় আছি। তাই বলে অন্যান্য বনি-ইসরাইলদের সংগে আমরা নির্দিষ্ট সময়ে মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী দিতে পারব না কেন?”
8. জবাবে মূসা বললেন, “তোমাদের সম্বন্ধে মাবুদের হুকুম জেনে না নেওয়া পর্যন্ত তোমরা অপেক্ষা কর।”
9. তখন মাবুদ মূসাকে বললেন,
10. “বনি-ইসরাইলদের বল যে, তাদের কিংবা তাদের বংশধরদের মধ্যে যদি কেউ কেউ মৃতদেহের ছোঁয়া লাগবার দরুন নাপাক অবস্থায় পড়ে কিংবা তারা যদি লম্বা যাত্রাপথে থাকে তবুও তারা মাবুদের উদ্দেশে উদ্ধার-ঈদ পালন করতে পারবে।
11. দ্বিতীয় মাসের চৌদ্দ দিনের দিন বেলা ডুবে গেলে পর তাদের এই ঈদ পালন করতে হবে। খামিহীন রুটি আর তেতো শাকের সংগে তাদের উদ্ধার-ঈদের গোশ্ত খেতে হবে।
12. সকাল পর্যন্ত কিছু ফেলে রাখা চলবে না কিংবা কোন হাড় ভাংগা চলবে না। উদ্ধার-ঈদ পালনের সময় সমস্ত নিয়ম তাদের মেনে চলতে হবে।
13. কিন্তু নাপাক নয় কিংবা যাত্রাপথেও নয় এমন কোন লোক যদি উদ্ধার-ঈদ পালন না করে, তবে সে নির্দিষ্ট সময়ে মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী দেয় নি বলে তাকে তার জাতির মধ্য থেকে মুছে ফেলতে হবে। তাকে তার গুনাহের ফল ভোগ করতেই হবে।
14. “ইসরাইলীয়দের মধ্যে বাস করা অন্য জাতির কোন লোক যদি মাবুদের উদ্দেশে উদ্ধার-ঈদ পালন করতে চায়, তবে তাকে এই ঈদের নিয়ম-কানুন অনুসারেই তা পালন করতে হবে। ইসরাইলীয় এবং অন্য জাতির সবাইকে একই নিয়ম পালন করতে হবে।”
15. যেদিন আবাস-তাম্বু, অর্থাৎ সাক্ষ্য-তাম্বু খাটানো হল সেই দিন সেটি মাবুদের মেঘে ঢেকে গেল। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত আবাস-তাম্বুর উপরকার সেই মেঘ আগুনের মত দেখাল।