শুমারী 5:20-31 Kitabul Mukkadas (MBCL)

20. কিন্তু বিয়ের পর কুপথে গিয়ে কারও সংগে জেনা করে যদি তুমি অসতী হয়ে থাক’-

21. এই পর্যন্ত বলে ইমাম সেই স্ত্রীলোকটিকে দিয়ে তার নিজের উপর বদদোয়া ডেকে আনবার একটা কসম খাইয়ে নিয়ে আবার বলবে, ‘তবে মাবুদ এমন করুন যাতে স্ত্রী-অংগ অকেজো হয়ে তোমার পেট ফুলে ওঠে, যার ফলে তোমার লোকেরাই বদদোয়া এবং কসমের সময়ে তোমার নাম ব্যবহার করবে।

22. এই বদদোয়ার পানি তোমার শরীরে ঢুকে যেন এমনভাবে কাজ করে যাতে তোমার পেট ফুলে ওঠে ও তোমার স্ত্রী-অংগ অকেজো হয়ে যায়।’“এর জবাবে স্ত্রীলোকটিকে বলতে হবে, ‘তা-ই হোক।’

23. “ইমাম এই সমস্ত বদদোয়া চামড়ার উপর লিখে পানি ঢেলে লেখাটা সেই তেতো পানিতে ফেলবে।

24. বদদোয়ার সেই তেতো পানি সেই স্ত্রীলোকটিকে খাওয়ালে পর সেই পানি তার পেটে গিয়ে তাকে ভীষণ যন্ত্রণা দেবে।

25. প্রথমে ইমাম স্ত্রীলোকটির হাত থেকে সন্দেহের দরুন আনা সেই শস্য-কোরবানী নিয়ে মাবুদের সামনে দুলিয়ে তা কোরবানগাহের কাছে নিয়ে যাবে।

26. ইমাম তারপর পুরো কোরবানীর বদলে তা থেকে এক মুঠো তুলে নিয়ে কোরবানগাহের উপর পুড়িয়ে দেবে। তারপর সে সেই পানি স্ত্রীলোকটিকে খেতে দেবে।

27. স্ত্রীলোকটি যদি অসতী হয়ে স্বামীর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে থাকে তবে বদদোয়ার এই পানি তাকে খাওয়াবার পর তা তার পেটে গিয়ে তাকে ভীষণ যন্ত্রণা দেবে। তার পেট ফুলে উঠবে এবং স্ত্রী-অংগ অকেজো হয়ে যাবে আর তার লোকেরা তার নাম বদদোয়া হিসাবে ব্যবহার করবে।

28. কিন্তু স্ত্রীলোকটি যদি অসতী না হয়ে নির্দোষ থাকে তবে তাকে যে দোষ দেওয়া হয়েছিল তা থেকে সে খালাস পাবে এবং সন্তানের মা হবার ক্ষমতা তার থেকেই যাবে।

29-30. “কোন স্ত্রীলোক বিয়ের পরে যদি কুপথে গিয়ে অসতী হয় কিংবা যদি কোন পুরুষের মন স্ত্রীর উপর সন্দেহে বিষিয়ে ওঠে তবে এই নিয়মে তার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বামী তার স্ত্রীকে মাবুদের সামনে নিয়ে যাবে আর ইমাম এই পুরো ব্যবস্থাটাই তার উপর খাটাবে।

31. এতে স্বামী অন্যায় করবার নালিশ থেকে মুক্ত থাকবে, কিন্তু অন্যায় করে থাকলে স্ত্রীলোকটি তার ফল ভোগ করবে।”

শুমারী 5