6. তারপর তারা শুশুকের চামড়া দিয়ে সেটা ঢেকে তার উপর এমন একটা কাপড় বিছিয়ে দেবে যার সবটাই নীল রংয়ের, আর সাক্ষ্য-সিন্দুকের ডাণ্ডাগুলো জায়গামত ঢুকিয়ে দেবে।
7. পবিত্র-রুটি রাখবার টেবিলের উপর তারা একটা নীল কাপড় বিছিয়ে তার উপর টেবিলের বড় ও ছোট বাসনগুলো, পেয়ালা এবং ঢালন-কোরবানীর কলসীগুলো রাখবে। যে রুটিগুলো সব সময় টেবিলের উপর থাকে সেগুলো টেবিলের উপরেই থাকবে।
8. এগুলোর উপর একটি লাল রংয়ের কাপড় বিছিয়ে শুশুকের চামড়া দিয়ে ঢেকে দেবে আর টেবিলের ডাণ্ডাগুলো জায়গামত ঢুকিয়ে দেবে।
9. আলো দেবার জন্য যে বাতিদানটা আছে সেটা ও তার সব বাতি, সল্তে পরিষ্কার করবার চিম্টা ও সল্তের পোড়া অংশ রাখবার পাত্র এবং বাতিতে তেল যোগান দেবার পাত্র তারা একটা নীল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেবে।
10. তারপর তারা সমস্ত সাজ-সরঞ্জাম সুদ্ধ বাতিদানটা শুশুকের চামড়ায় জড়িয়ে সেটা তার বয়ে নেবার তক্তার উপর রাখবে।
11. সোনার ধূপগাহের উপর একটা নীল কাপড় বিছিয়ে তারা সেটা শুশুকের চামড়া দিয়ে ঢেকে দেবে এবং ধূপগাহের ডাণ্ডাগুলো জায়গামত ঢুকিয়ে দেবে।
12. পবিত্র তাম্বুর কাজে ব্যবহার করবার সমস্ত জিনিসপত্র তারা নীল কাপড়ে জড়িয়ে শুশুকের চামড়া দিয়ে ঢেকে সেটা তার বয়ে নেবার তক্তার উপরে রাখবে।
13. কোরবানগাহ্টার সমস্ত ছাই ফেলে দিয়ে তারা একটা বেগুনী রংয়ের কাপড় তার উপর বিছিয়ে দেবে।
14. তারপর তার উপর তারা কোরবানগাহের কাজের সমস্ত বাসন-কোসন, আগুন রাখবার পাত্র, গোশ্ত তুলবার কাঁটা, হাতা ও কোরবানীর রক্ত রাখবার গামলা রাখবে। তারা তার উপর শুশুকের চামড়া বিছিয়ে দেবে এবং তার ডাণ্ডাগুলো জায়গামত ঢুকিয়ে দেবে।
15. “হারুন ও তার ছেলেরা যখন এই সব পাক-পবিত্র জিনিসপত্র ও পবিত্র তাম্বুর সাজ-সরঞ্জাম ঢাকা দেওয়া শেষ করবে এবং লোকেরা তাম্বু তুলে যাত্রার জন্য প্রস্তুত হবে তখন কহাতীয়রা এই সব বয়ে নেবার জন্য আসবে। কিন্তু কোন পাক-পবিত্র জিনিসে তাদের হাত দেওয়া চলবে না। তা করলে তারা মারা পড়বে। মিলন-তাম্বুতে যে সব জিনিস থাকবে কহাতীয়দের সেগুলো বয়ে নিতে হবে।
16. বাতির তেল, খোশবু ধূপ, নিয়মিত শস্য-কোরবানী এবং অভিষেক-তেলের ভার থাকবে ইমাম হারুনের ছেলে ইলীয়াসরের উপর। পুরো আবাস-তাম্বু ও তার মধ্যেকার সমস্ত কিছুর, অর্থাৎ পবিত্র তাম্বুর ও তার সাজ-সরঞ্জামের ভার থাকবে ইলীয়াসরের উপর।”