32. সৈন্যদের আনা লুট থেকে যা বাকী রইল তা হল ছয় লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ভেড়া ও ছাগল,
33-35. বাহাত্তর হাজার গরু, একষট্টি হাজার গাধা এবং বত্রিশ হাজার অবিবাহিতা সতী মেয়ে।
36-40. যারা যুদ্ধ করেছিল তাদের ভাগের অংশ হল, তিন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশো ভেড়া ও ছাগল, ছত্রিশ হাজার গরু, ত্রিশ হাজার পাঁচশো গাধা আর ষোল হাজার অবিবাহিতা সতী মেয়ে। এগুলোর মধ্যে মাবুদের পাওনা খাজনা হল ছ’শো পঁচাত্তরটা ভেড়া ও ছাগল, বাহাত্তরটা গরু, একষট্টিটা গাধা এবং বত্রিশজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে।
41. মাবুদ মূসাকে যে হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই তিনি মাবুদের এই পাওনা খাজনা নিয়ে ইমাম ইলিয়াসরের হাতে দিলেন।
42-43. যে অর্ধেক ভাগ মূসা বনি-ইসরাইলদের, অর্থাৎ সমাজের বাদবাকী লোকদের পাওনা হিসাবে সৈন্যদের ভাগের কাছ থেকে সরিয়ে রাখলেন সেই ভাগে ছিল তিন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশো ভেড়া ও ছাগল,
44-46. ছত্রিশ হাজার গরু, ত্রিশ হাজার পাঁচশো গাধা, আর ষোল হাজার অবিবাহিতা সতী মেয়ে।
47. সেই বনি-ইসরাইলরা যে অর্ধেক ভাগ পেল তার মধ্য থেকে মূসা প্রতি পঞ্চাশজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে থেকে একজন করে এবং প্রতি পঞ্চাশটা পশু থেকে একটা করে নিয়ে মাবুদের হুকুম মত লেবীয়দের দিলেন, যাদের উপর মাবুদের আবাস-তাম্বুর দেখাশোনার ভার ছিল।
48-49. এর পর সৈন্যদের বিভিন্ন দলের সেনাপতিরা, অর্থাৎ হাজারপতি ও শতপতিরা মূসার কাছে গিয়ে বললেন, “আপনার গোলামেরা, অর্থাৎ আমরা আমাদের অধীন সৈন্যদের গুণে দেখলাম তাদের মধ্যে কেউই মারা পড়ে নি।
50. তাই আমরা প্রত্যেকে যে সমস্ত সোনার বাজু, বালা, সীলমোহর করবার আংটি, কানের দুল ও গলার হার পেয়েছি, আমাদের গুনাহ্ ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে আমরা সেগুলো মাবুদের কাছে কোরবানী করতে নিয়ে এসেছি।”
51. তখন মূসা ও ইমাম ইলিয়াসর তাদের কাছ থেকে সেই সব সোনার গহনাগুলো নিলেন।
52. মূসা ও ইলিয়াসর হাজারপতি ও শতপতিদের যে সব সোনা মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী করলেন তার ওজন হল প্রায় একশো আটষট্টি কেজি।
53. এছাড়া সৈন্যেরা সকলেই নিজের নিজের জন্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে এসেছিল।
54. মাবুদ যাতে বনি-ইসরাইলদের প্রতি খেয়াল রাখেন সেইজন্য মূসা ও ইমাম ইলিয়াসর হাজারপতি ও শতপতিদের কাছ থেকে সোনার জিনিসগুলো নিয়ে মিলন-তাম্বুতে রাখলেন।