26. “ইমাম ইলিয়াসর, বনি-ইসরাইলদের বংশের নেতারা এবং তুমি বন্দী করে আনা সমস্ত মানুষ ও পশুদের সংখ্যা গণনা কর।
27. লুটের সব কিছু দু’ভাগ করে এক ভাগ দাও সৈন্যদের যারা যুদ্ধ করেছে আর অন্য ভাগ দাও সমাজের বাদবাকী লোকদের।
28. সেই সব সৈন্যদের ভাগে যত মানুষ, গরু, গাধা, ভেড়া ও ছাগল পড়বে তার প্রতি পাঁচশো থেকে একটা করে মাবুদের খাজনা হিসাবে আলাদা করে রাখতে হবে।
29. সৈন্যদের ভাগের এই খাজনা তুমি মাবুদের পাওনা অংশ হিসাবে ইমাম ইলিয়াসরের হাতে দেবে।
30. বনি-ইসরাইলদের ভাগে যে সমস্ত মানুষ, গরু, গাধা, ভেড়া, ছাগল বা অন্য যে কোন পশু পড়বে তার প্রতি পঞ্চাশটা থেকে একটা করে আলাদা করে রাখবে। সেগুলো তুমি লেবীয়দের হাতে দেবে যাদের উপর আবাস-তাম্বুর দেখাশোনার ভার রয়েছে।”
31. মাবুদ মূসাকে যে সব হুকুম দিলেন সেইমতই তিনি ও ইমাম ইলিয়াসর সব কিছু করলেন।
32. সৈন্যদের আনা লুট থেকে যা বাকী রইল তা হল ছয় লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ভেড়া ও ছাগল,
33-35. বাহাত্তর হাজার গরু, একষট্টি হাজার গাধা এবং বত্রিশ হাজার অবিবাহিতা সতী মেয়ে।
36-40. যারা যুদ্ধ করেছিল তাদের ভাগের অংশ হল, তিন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশো ভেড়া ও ছাগল, ছত্রিশ হাজার গরু, ত্রিশ হাজার পাঁচশো গাধা আর ষোল হাজার অবিবাহিতা সতী মেয়ে। এগুলোর মধ্যে মাবুদের পাওনা খাজনা হল ছ’শো পঁচাত্তরটা ভেড়া ও ছাগল, বাহাত্তরটা গরু, একষট্টিটা গাধা এবং বত্রিশজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে।
41. মাবুদ মূসাকে যে হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই তিনি মাবুদের এই পাওনা খাজনা নিয়ে ইমাম ইলিয়াসরের হাতে দিলেন।
42-43. যে অর্ধেক ভাগ মূসা বনি-ইসরাইলদের, অর্থাৎ সমাজের বাদবাকী লোকদের পাওনা হিসাবে সৈন্যদের ভাগের কাছ থেকে সরিয়ে রাখলেন সেই ভাগে ছিল তিন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশো ভেড়া ও ছাগল,
44-46. ছত্রিশ হাজার গরু, ত্রিশ হাজার পাঁচশো গাধা, আর ষোল হাজার অবিবাহিতা সতী মেয়ে।
47. সেই বনি-ইসরাইলরা যে অর্ধেক ভাগ পেল তার মধ্য থেকে মূসা প্রতি পঞ্চাশজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে থেকে একজন করে এবং প্রতি পঞ্চাশটা পশু থেকে একটা করে নিয়ে মাবুদের হুকুম মত লেবীয়দের দিলেন, যাদের উপর মাবুদের আবাস-তাম্বুর দেখাশোনার ভার ছিল।